বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিয়োগবাণিজ্য ধামাচাপা দিতে মারধর, ভিডিও ভাইরাল

পাবনা প্রতিনিধি

নিয়োগবাণিজ্য ধামাচাপা দিতে পাবনায় শিক্ষকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি দুলাই ইউনিয়নের চিনাখরা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। এর বিচার দাবি করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। চিনাখরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক বিদুৎসাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেন সভাপতি। এ ঘটনায় আমি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দেই। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী তদন্ত করে সভাপতি ও তৎকালীন অধ্যক্ষের লিখিত জবাবে বিধি বহির্ভূত নিয়োগের সত্যতা পান। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সভাপতি পুনর্তদন্তের আবেদন করার উদ্যোগ নেন। সেই আবেদনে সব শিক্ষকের স্বাক্ষর সংযুক্ত করতে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। তাতে রাজি না হলে অনুসারীদের দিয়ে শিক্ষকদের মারধর ও স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা ভয়ে তখন সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে রাজি হননি। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠছে। চিনাখরা হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবদুল মালেক অভিযোগ করেন, কেবল নিয়োগবাণিজ্যই নয় কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুট, তহবিলের টাকা তুলে আত্মসাৎ সবই করেন সভাপতি। এ সবের প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তদন্তে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও রওশন আলী। এ বিষয়ে চিনাখরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমি কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। উৎকোচ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমিও পেয়েছি। শাহজাহানের মতো একজন নেতার এমন কা-ে আমরা বিব্রত ও লজ্জিত। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর