শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ত্রিমুখী সংকটে হাঁড়িধোয়া নদ

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ত্রিমুখী সংকটে হাঁড়িধোয়া নদ

ত্রিমুখী সংকটে হাঁড়িধোয়া নদ। অবৈধ দখল, বর্জ্য ও নাব্য সংকটে এ নদ। এ নদটি রাজধানীর উপকণ্ঠের নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত। এ নদের উপত্তি মেঘনা নদী থেকে। বিভিন্ন কল-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে মিশে নদের পানি ব্যাপকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। অনেকে এখন হাড়িধোয়ার নামের বদলে ‘ডাইংধোয়া’ নদ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এতে বিরোধিতা করার মতো কোনো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। হাড়িধোয়া নদের দুই পাশে অবৈধ দখলদার নিজেদের মতো করে  স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এসব স্থাপনার মধ্যে হোটেল, পান-সিগারেটের দোকান ও টং ঘর। অনেকে এসব ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ফলে অনেকে এ নদকে খাল বলে থাকেন। তবে নদটি গোপালদী, সদাসদি, দাইরাদি, খাসেরকান্দি ঘুরে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিশেছে। অনেকে মেঘনার শাখা নদী হিসেবে হাঁড়িধোয়াকে মনে রেখেছেন। জানা গেছে, গ্রাম্য প্রবাদ এক সময় এই নদীর দুই পাশের গ্রামের গৃহস্ত পরিবার ঘর-গৃহস্থালি বিশেষ করে হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কার করতেন হাঁড়িধোয়া নদের পানি দিয়ে। সরাসরি নদীর পানিতেই হাঁড়ি-পাতিল ধোয়া মোছা চলত। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদীবাজার সংলগ্ন মেঘনার শাখা নদীতে ডায়িং কারখানার তরল বর্জ্য মিশে যাচ্ছে। শাখা নদীর দুটি জায়গা দিয়ে এসব বর্জ্য মেঘনায় মিশে যাচ্ছে। জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের নরসিংদীর মাধবদী থেকে একটি খাল ১০ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের গোপালদী বাজারের পূর্ব পাশে মেঘনার শাখায় পড়েছে। শাখা নদীটি আড়াইহাজারের বিষনন্দী ও খাগকান্দা গ্রামের পাশ দিয়ে মূল মেঘনায় মিশেছে। সূত্র জানায়, শাখা নদটি বিষনন্দী গ্রামের পাশ দিয়ে শুরু হয়ে গোপালদী, বালুয়াকান্দি, গাজীপুরা, কড়ইতলা, শরীফপুর, রায়পুরা, মানিকপুর, চৈতনকান্দা, দয়াকান্দা, শম্ভুপুরা, নয়নাবাদ, শান্তিরবাজার, দাইরাদি, টোকসাদি, মুরাদপুর, রামচন্দ্রদী, খাসেরকান্দি প্রভৃতি গ্রামের পাশ দিয়ে মেঘনায় মিশেছে। একসময় শাখা নদীর দুই পাশের ৩০টি গ্রামের মানুষ গোসল, রান্নাবান্নাসহ কৃষিকাজে এর পানি ব্যবহার করতেন।

সর্বশেষ খবর