শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আজও চোখে ভাসে সেদিনের আর্তনাদ

মন্দভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার এক বছর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

‘আজও সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দৃশ্য চোখে ভাসে। দুর্ঘটনার শিকার মানুষের আর্তনাদ কানে বাজে। লাশের সারি। শিশুদের কান্না।’ মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দভাগ রেলস্টেশনে সেই ট্রেন দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শী মামুন মিয়া।

তিনি বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে। দিনটি ছিল ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। বাইরে শোনা যাচ্ছিল শত শত মানুষের বাঁচাও বাঁচাও আর্তনাদ। গিয়ে দেখি আমার আগেই পাশের বাড়ির দুজন হাতুরিপেটা করে দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনের বগির জানালার কাঁচ ভাঙছেন। দেরি না করে ঢুকে গেলাম বগির ভিতর। কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ এক মহিলা পায়ে ধরে বলল বাবা আমাকে বাঁচাও। চেয়ে দেখি ওই মহিলার একটি পা কেটে আলাদা হয়ে রক্ত ঝরছে। এরই মধ্যে আমার মহল্লার অন্য লোকজনও শুরু করে উদ্ধার কাজ। খবর পেয়ে ছুটে আসে প্রশাসনের লোকজন, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও সংবাদকর্মীরা। দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ নিয়ে রাখা হয় পার্শ্ববর্তী বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সকাল ৯টার পর থেকে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয় বিদ্যালয়সহ আশপাশের পরিবেশ। শনাক্ত করে স্বজনরা একে একে নিয়ে যান ১৬টি মৃতদেহ। উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসের ভোররাতে কসবার মন্দাভাগ রেলস্টেশনে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথার মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন প্রাণ হারান। সেই দিনের দুর্বিষহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যাত্রী ও এলাকাবাসী।

সর্বশেষ খবর