মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা একটি চকলেটের চালানের ভিতর থেকে ২ কোটি টাকার এক ট্রাক ভারতীয় শাড়ি জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় জড়িত মুক্তি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করেছে গতকাল। ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালি ট্রেডিং ভারত থেকে ২০২ প্যাকেজের এক ট্রাক চকলেট ও অন্যন্য রকমারি পণ্য আমদানি করেন।

পণ্য চালানটি খালাসের জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স মুক্তি এন্টারপ্রাইজ কাস্টমস হাউসে ডকুমেন্টস জমা করেন।  কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার বিলাল হোসেন জানান, চকলেট শিশুদের খাদ্য হওয়ায়  কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খাদ্যের গুণগত মান নির্ণয়ের জন্য বিএসটিআই অফিসে নমুনা পাঠান। চকলেটের গুণগত মান নির্ণয়ের প্রত্যয়নপত্র  আসতে ১০ দিন সময় লাগবে বিধায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মুক্তি এন্টারপ্রাইজ চকলেটের রাজস্ব পরিশোধ করেন।

 ৭৪ কার্টন চকলেট রেখে বাকি পণ্য খালাস নিয়ে যায় আমদানিকারক। চকলেটের টেস্ট রিপোর্ট আসার পর গতকাল তা বন্দর থেকে খালাস নিয়ে যায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মুক্তি এন্টারপাইজ। ডিসি জানান, চকলেটের কার্টনের ভিতর কাতান শাড়ি রি-প্যাকিং করে ৫০ কার্টন শাড়ি কৌশলে বন্দরের বাইরে থেকে ট্রাকে লোড করে ঢাকায় যাওয়ার সময় বেনাপোল বাজার থেকে ঢাকা মেট্রো-অ-১১-২৮৫৩ নম্বরের ট্রাকটি আটক করে বিজিবি সদস্যরা। পরে ট্রাকটি তল্লাশি করে ২ কোটি টাকার উন্নতমানের শাড়ি জব্দ করে বিজিবি। পরে ট্রাকসহ শাড়ির চালানটি বেনাপোল কাস্টমস হাউসে জমা দেওয়া হয়। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মুক্তি এন্টারপ্রাইজ কৌশলে চুরি করে চকলেটের কার্টনের পরিবর্তে বন্দরের বাইরে রাস্তা থেকে শাড়ির কার্টন ট্রাকে পুনরায় লোড করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি ট্রাকটি আটক করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।