রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ময়লার ভাগাড় ‘শহর খাল’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ময়লার ভাগাড় ‘শহর খাল’

শহর খালে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বাজারের বর্জ্য ফেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর খালটি দিন দিন ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে খালের পানি। কমছে গভীরতা ও প্রশস্ততা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই খালটি ‘শহর খাল’ নামেই চেনে এলাবাসী। তিতাস নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে খালটি শহরের কাজীপাড়া, মধ্যপাড়া, পৈরতলা হয়ে গোকর্ণঘাট গ্রামের পাশ দিয়ে আবার তিতাস নদীতে মিলিত হয়েছে। একসময় এই খালের পানিতে গোসল করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষাকালে খাল দিয়ে চলত বাহারি নৌকা। শহরের বড় বড় ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকায় পণ্য এনে এই খালের টানবাজার এলাকায় নোঙ্গর করতেন। খালটি এখন মৃতপ্রায়। এই খালে এখন আর নৌকা চলে না। গোসলও করেন না কেউ। খালটির দৈর্ঘ্য চার দশমিক ৮০ কিলোমিটার। খালপাড়ের বাসিন্দারা জানান, একসময় বর্ষাকালে খালের পানিতে গৃহস্থালীর কাজ করতেন তারা। বর্জ্য ফেলায় এবং দীর্ঘদিন সংস্কার-খননের অভাবে বর্ষা মৌসুমেও এখন খালে আগের মতো পানি আসে না। পৌরসভার একজন প্রকৌশলী জানান, একসময় শহরের খালের গভীরতা ছিল ২২-২৩ ফুট। আবাসিক এলাকা, খাবার হোটেল, বাজারের ফেলা বর্জ্যে ভরাট হয়ে তা এখন ১৫ ফুট হয়ে গেছে। আর মধ্যপাড়া থেকে সরকারপাড়া পর্যন্ত খালে গভীরতা আছে মাত্র ৮-১০ ফুট। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও বাজারের বর্জ্য এনে খালে ফেলা হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ২০টি ড্রেনের সঙ্গে রয়েছে এ খালের সংযোগ। ড্রেন দিয়েও প্রতিদিন প্রচুর ময়লা এসে খালে পড়ে। পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার শাহিন, কামরুল, ইমন ও কাজীপাড়া দরগা মহল্লার বাসিন্দা ফিরুজ, মামুন বলেন, দখল আর দূষণে এই খাল এখন শুধুই স্মৃতি। ইতিমধ্যেই এর বিভিন্ন অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। খালটি পুনরুদ্ধার ও বাঁচানোর দাবি জানান তারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির বলেন, বার বার রেস্টুরেন্ট মালিক ও বাড়ির মালিকদের বললেও তারা কথা শুনছেন না। রাতে ময়লা ফেলে খালটি নষ্ট করে দিচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর