কুমিল্লা সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দিনের বেলা কর্মচারীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দলিল ঘষামাজার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩১ অক্টোবর ছুটির দিনে এ ঘটনা ঘটলেও ১৩ দিন পর মামলা করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেছেন সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুস ছামাদ। এতে দলিল লেখক আবুল বাসার সাজ্জাদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল। কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন অফিস সহকারী আবদুস ছামাদ, মোহরার মো. আজাদ ও পিয়ন আবদুল জলিল। এ সময় দলিল লেখক আবুল বাসার সাজ্জাদ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি তাদের দিকে অস্ত্র তাক করেন। ছামাদের কাছে থাকা রেকর্ড কক্ষের চাবি কেড়ে নেন। দলিল লেখক আবুল বাসার সাজ্জাদ একটি দলিল নিয়ে রেকর্ড কক্ষ থেকে রেজিস্ট্রি অফিসের বাইরে যান। কিছুক্ষণ বাইরে থাকার পর সাজ্জাদ পুনরায় দলিল নিয়ে এসে পিয়ন জলিলের হাতে তুলে দেন। একই সঙ্গে ওই ঘটনা কাউকে না জানাতে হত্যা ও চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সাজ্জাদ যে দলিল নিয়ে বাইরে যান সেটি একটি আমমোক্তারনামা দলিল যা গত ১৩ অক্টোবর নিবন্ধন করা হয়। এতে দলিলের প্রকৃতি পরিবর্তনসহ ৯ নম্বর পাতার বিভিন্ন বিষয় সংযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত দলিল লেখক আবুল বাসার সাজ্জাদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বলেন, দলিল বাইরে নেওয়া ও ঘষামাজার অভিযোগে একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অন্য আসামিরা অজ্ঞাতনামা। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারের। এ বিষয়ে তিনি ভালো বলতে পারবেন।