রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের কসাইখানা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বত্র পরীক্ষা ছাড়াই চলছে গবাদি পশু জবাই করে বিক্রি হচ্ছে মাংস। স্বাস্থ্যবিধি না  মেনে চলছে যত্রতত্র পশু জবাই। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জেলার কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের নির্দেশনা থাকার পরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে বিক্রি হচ্ছে মাংস। জানা যায়,  জেলার পৌর শহরের কালিবাড়ি বাজার, গুধুলী, ঠাকুরগাঁও রোড, আট গ্যালারি, বিসিক মোড়সহ প্রতিটি গ্রাম ও পাড়া মহল্লার হাট বাজারে গরু ছাগল, ভেড়া, মহিষ জবাই করার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। পরে মাংস বিক্রি করছে দেদার। গতকাল সরেজমিন জেলা সদরের একমাত্র কসাইখানায় দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই জবাই করে মাংস  তৈরির কাজে ব্যস্ত কসাই। পশু জবাইয়ের রেজিস্টার খাতা দেখতে চাইলে তারা খাতাটি সরিয়ে ফেলে। পরে ওই খাতা দেখা পৌর সচিব মো. রাশেদুর রহমানের নিষেধ আছে বলে জানান তিনি। গতকাল কোনো ভেটেরিনারি সার্জন  পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন সৈয়দ নামের এক পশুর ডাক্তার নিয়মিত আসতেন। কিন্তু তিন মাস আগে পা ভেঙে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আসতে পারেন না। তাই স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশুর জবাই ও মাংস বিক্রি। সদর উপজেলার পাটিয়াডাঙ্গি বাজারে অসুস্থ রোগা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ ওঠে। পরে স্থানীয়দের চাপে জবাই করা মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তখন অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বেশির ভাগ রোগাক্রান্ত কুকুর কামরানো গরু-ছাগল বিভিন্ন এলাকা থেকে কম দামে কিনে জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন কসাইরা।  কসাই হাতেম আলী বলেন, শুনেছি পশু হাসপাতালের ডাক্তাররা গরু ছাগল জবাই করার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। কিন্তু আমাদের এখানে কোনো ডাক্তার আসে না।  জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর