নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মাসোয়ারা (মাসিক চাঁদা) করে যানবাহন চলাচলের জন্য চাপ প্রয়োগ ও যানবহনের চালকদের নানা ধরনের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া অনৈতিক আচরণে পরিবহন ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের কাগজপত্র শতভাগ ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বে¡ও অহেতুক রেকার বিলের নামে ঘুষ বাণিজ্যেরও বহু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তিন চাকার সিএনজি-ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটকে করেও নানা বাণিজ্য করারও অভিযোগ করা হয়েছে। মোক্তার নামে এক সোর্সের মাধ্যমে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই মেহেদী হাসান বিভিন্ন পরিবহনে মালিকদের মাসোয়ারা করে যানবাহন চলাচলের জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ভুক্তভোগী। হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর জোনের কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রাম-মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর পূর্বপাশ থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা ও কাঁচপুর থেকে ঢাকা-সিলেট-মহাসড়কের ভুলতা গাউছিয়া এবং এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের মদনপুর থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ ৩টি মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনের সঙ্গে শত শত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। মহাসড়কের মদনপুর চৌরাস্তায় প্রতিদিন প্রকাশ্যে যানবাহন আটকে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে পরিবহনে মালিকদের মাসোয়ারা (মাসিক চাঁদা) করে যানবাহন চলাচলের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। পুলিশের কথা অনুযায়ী মাসোয়ারা না করলে কাগজপত্র শতভাগ ঠিকঠাক থাকলেও অহেতুক রেকার বিলের নামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।