বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বগুড়ায় তিন মাসে ১০৮ অপমৃত্যু

‘পারিবারিক কলহ আর্থিক অসচ্ছলতা অন্যতম কারণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় গত তিন মাসে ১০৮ জনের অপমৃত্যু হয়েছে। জেলার মধ্যে বেশি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সদর ও আদমদিঘি উপজেলায়। পুলিশ বলছে পারিবারিক কলহ, ঋণ, আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও প্রেমঘটিত কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে কেউ কেউ। জেলা পুলিশের হিসাব মতে, সর্বোচ্চ ২৩ জনের অপমৃত্যুর ঘটেছে সদর উপজেলায়। অন্য উপজেলার মধ্যে আদমদীঘিতে ২০, শিবগঞ্জে ১৩, ধুনটে ১০, গাবতলীতে ৯, শাহাজাহানপুরে ৭, সোনাতলায় ৬, কাহালুতে ৬, নন্দীগ্রামে ৫, শেরপুরে ৪, দুপচাঁচিয়ায় ৩ ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২ জনের অপমৃত্যু হয়েছে। সবশেষ গত শুক্রবার রাতে উপজেলার জিনইর গ্রামের এক টিউবওয়েল মিস্ত্রি বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মারা যান। আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সান্তাহারের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ অনেকটা একা হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও যুবকরা তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকটও মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন বলেন, পারিবারিক কলহ, ঋণ ও আর্থিক অস্বচ্ছলতাই বেশিরভাগ আত্মহত্যার কারণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও এ সব অপমৃত্যুর পিছনে অন্য কিছু আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্ত্তী জানান, জেলায় যে কটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে পারিবারিক কলহ, সুদের টাকা ও প্রেমঘটিত ঘটনা বেশি। সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সচেতনতা বাড়ালে আত্মহত্যার প্রবণতা কমে যাবে।

সর্বশেষ খবর