শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাতজন ডাক্তার দিয়ে চলছে ১৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা

রোকনুজ্জামান পারভেজ, শরীয়তপুর

সাতজন ডাক্তার দিয়ে চলছে ১৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা

জনবল সংকটে ভেঙে পড়েছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা। ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন জেলার ১৫ লাখ মানুষ। বিপুল এ জনগোষ্ঠীর বিপরীতে এখানে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন ডাক্তার। অভাব রয়েছে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরও। ফলে চিকিৎসাসেবা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। ১৯৯০ সালে ৫০ শয্যার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৪ সালে হাসপাতালটি ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। অবকাঠামো, ওষুধ-সামগ্রী ১০০ শয্যার থাকলেও জনবল রয়েছে ৫০ শয্যার হাসপাতালের চেয়েও অনেক কম। ১০০ শয্যার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসার প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ৫১ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সেখানে বর্তমানে এই হাসপাতালে কাগজে-কলমে ডাক্তার আছেন ১৮ জন। এর মধ্যে কয়েকজন বদলি ও প্রেশনে চলে যাওয়ায় এখন কর্মরত রয়েছেন মাত্র সাতজন। ফলে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দুজন মহিলা ডাক্তার থাকলেও তারা প্রসূতি, শিশুসহ অন্য আন্তবিভাগে নিয়মিত দায়িত্বপালন করায় বহির্বিভাগে বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হয় না তাদের পক্ষে। বাধ্য হয়ে বহির্বিভাগের মহিলা রোগীদের শরণাপন্ন হতে হয় পুরুষ চিকিৎসকের। এ ছাড়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন কনসালটেন্ট, অর্থোপেডিকস কনসালটেন্ট না থাকায় রোগীরা দায়সারা চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। জরুরি মেডিকেল অফিসার, রেডিওগ্রাফার, জুনিয়র মেকানিক, নিরাপত্তাপ্রহরী ও মালীর কোনো পদ নেই এখানে। সুইপার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছেন মাত্র চারজন। হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকার কথা কিন্তু রয়েছে মাত্র একটি। একটি জেনারেটর থাকলেও সরকারিভাবে তেলের বরাদ্দ না পাওয়ায় তা চালু করা হয় না। লোডশেডিংয়ের সময় হাসপাতালের ভিতরে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ।

 আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ছয় বছর আগে সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবল এখনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া একের পর এক চিকিৎসক বদলি ও প্রেষণে যাওয়ায় এখন মাত্র সাতজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি।

সর্বশেষ খবর