আশুগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত স্বামী মো. জুয়েল মিয়া (৩২)। গতকাল ভোরে উপজেলার চরচারতলা এলাকার আলগা বাড়ির মো. আবু চান মিয়ার ঘর থেকে নিহত কোহিনুর বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কোহিনুর একই এলাকার আবুল হোসেন মিয়ার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে নিহতের ঘাতক স্বামী জুয়েল পলাতক রয়েছেন। এই ঘটনায় জুয়েলের পরিবারের ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন জুয়েলের বাবা আবু চান মিয়া (৬৮), মা রহিমা বেগম (৫৫), বড় ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৯), ছোটভাই কামরুল ইসলাম (২৮) ও কামরুলের স্ত্রী আর্জিনা বেগম (২৪)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন কোহিনুর এবং জুয়েল। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর উভয়ের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়। তবে জুয়েল প্রতিদিন ইয়াবা সেবন করতেন। ওয়ার্কসপে নতুন করে বিনিয়োগ করার জন্য দুই মাস আগে কোহিনুরের কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন জুয়েল।
তবে কোহিনুর টাকা দিতে অপারগতা জানায়। বুধবার সন্ধ্যায় কোহিনুর পাশেই বাবার বাড়ি গিয়ে নিজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আসেন। এরই মধ্যে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে জুয়েল বঁটি দা দিয়ে কোহিনুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে কম্বল দিয়ে লাশ ঢেকে রেখে পালিয়ে যান। পরে রাতেই পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বঁটি দা ও জুয়েলের পরিবারের ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। কোহিনুরের বাবা মো. আবুল হোসেন জানান, বুধবার রাতেও তার সঙ্গে কোহিনুরের দেখা হয়। তবে সে সময় সে তাকে কোনো সমস্যার কথা জানায়নি। তিনি তার মেয়ে কোহিনুর হত্যাকারীর বিচার চান। আশুগঞ্জ থানার এসআই শ্রীবাসচন্দ্র বিশ্বাস জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা বঁটি দা উদ্ধার করা হয়।
