শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
রংপুর মেডিকেল কলেজ

দুই মাসে তিন শতাধিক ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষা

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক ল্যাবে গত দুই মাসে তিন শতাধিক নারীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। আগে এ সংখ্যা অর্ধেক ছিল। চিকিৎসকরা বলছেন, আগে নারীরা তাদের ওপর নির্যাতন হলে ভয়ে প্রকাশ করতেন না। এখন তারা ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন না। তাই অভিযোগ ও পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসের আগে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনটি ধর্ষণের ঘটনার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হতো। গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে আটটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত দুই মাসে তিন শতাধিক নারীর ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

 ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা আগে বেলা ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে বাড়ি যেতে পারতেন। এখন সন্ধ্যা পেরিয়ে যাচ্ছে। ফরেনসিক বিভাগের চারজন নিয়মিত চিকিৎসক, একজন বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

জানা গেছে, ফরেনসিক বিভাগে সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও প্রফেসরের পদ খালি রয়েছে। দ্রুত ওই পদ দুটি পূরণ করা হলে ধর্ষণের পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট আরও দ্রুত পাওয়া যেত। বর্তমানে ধর্ষণের রিপোর্ট পেতে ৭ থেকে ১৫ দিন লেগে যায়। ডিএনএ টেস্ট ও অন্যান্য প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য ঢাকার ওপর নির্ভর করতে হলে রিপোর্ট পেতে কয়েক মাস লেগে যায়। ফলে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

চিকিৎসকরা বলেন, ফরেনসিক মেডিসিন দিয়ে চিকিৎসকরা খুন, ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধের মামলার বিষয়ে আদালতকে সাহায্য করে। যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পান।

রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, সিলেটসহ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে প্রচার এবং ধর্ষণের নতুন আইন হওয়ায় নারীরা আগের চেয়ে সাহসী হয়েছে। তারা এখন ধর্ষণের অভিযোগ করতে ভয় পায় না।

সর্বশেষ খবর