শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ওষুধে হচ্ছে না কাজ দিশাহারা কৃষক

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

ওষুধে হচ্ছে না কাজ দিশাহারা কৃষক

নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় আতব ধানের শীষমরা রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগ প্রতিরোধে ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে ফলন বিপর্যয় নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায়জুড়ে ১৮ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার প্রতিটি জমিতে আমন ধান খুব ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে আগাম জাতের প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। এই ১৮ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে রোপণকৃত ধানের মধ্যে ১০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে চিনি আতব ধান রোপণ করা হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, কয়েক দিন পরেই হয়তো আতব ধান কাটা শুরু হবে। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই উপজেলার হরিপুর, আবাদপুকুর, করজগ্রাম, মাধাইমুড়ি, ভান্ডারা, আমগ্রাম, ভেবড়া, দামুয়া, জলকৈসহ বিভিন্ন মাঠে আতব ধানে ব্যাপকহারে শীষমরা রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের দাবি, ধানের শীষমরা রোগ প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন কোম্পানির কিটনাশক ছিটিয়েও কোনো ফল হচ্ছে না। ফলে আতব ধানে ফলন বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এতে করে ধান রক্ষায় এবং লোকসানের আশঙ্কায় দিশাহারা হয়ে পরেছেন তারা। করজ গ্রামের কৃষক ওহিদুর রহমান, মাধাইমুড়ি গ্রামের কৃষক রঞ্জু, হরিপুর গ্রামের কৃষক গৌর চন্দ্র বলেন, শুরু থেকে মাঠের ধান ভালো থাকলেও ধানের শীষ বের হওয়ার পর থেকে শীষ মরে যাচ্ছে। প্রথমে জমিতে দু-একটি মরা শীষ দেখা গেলেও বর্তমানে তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। কালীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, তার বিআর-৫১ জাতের প্রায় ৬ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বলছেন, বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।

 ধানের ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, আগাম জাতের মোটা ধান ভালো থাকলেও প্রতি বছর আতব ধান পাকার আগেই মাজরা, কিংকা ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে শীষ মরে যায়। এতে ফলন বিপর্যয়ের কারণে লোকসান হয়। এবারও একই রকম অবস্থা দেখা দিয়েছে। রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলাজুড়ে চলতি মৌসুমে কৃষকদের বিভিন্নভাবে ধান চাষে পরামর্শ দিয়েছি। দু-একটি জমিতে মাজরা পোকার কারণে কিছু ধানের শীষ মরে যাচ্ছে, তা পরিমাণে খুবই সামান্য। এতে ধানের ফলন বিপর্যয়ের কোনো আশঙ্কা নেই।

সর্বশেষ খবর