মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অপারেশন বন্ধ অর্ধ যুগ, দেড় দশকেও চালু হয়নি এক্স-রে

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

অপারেশন বন্ধ অর্ধ যুগ, দেড় দশকেও চালু হয়নি এক্স-রে

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) গত ছয় বছর যাবত বন্ধ। আর দেড় দশক ধরে চালু করাই সম্ভব হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৭ মে অপারেশন থিয়েটার চালুর পর ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট এটি বন্ধ হয়ে যায়। অপারেশন থিয়েটারে কার্যক্রম চালু করার জন্য অনুমোদিত পদের বেশির ভাগই শূন্য। গাইনি কনসালট্যান্ট, এনেস্থিসিয়া, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), মেডিটেক  রেডিওলোজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার সুফল মিলছে না। ফলে ব্যাহত  হচ্ছে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা।  এদিকে, এক্স-রে মেশিনটিও গত ১৫ বছর যাবত নষ্ট। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য  যে মেশিনটি পাওয়ার পর আর চালু করাই যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০০৫ সালের ৯ জুন কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এই এক্স-রে মেশিনপ্রাপ্ত হলেও তা এক দিনের জন্যও সচল  করা সম্ভব হয়নি। মেশিনটি পাওয়ার পর  স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মেশিনটি স্থাপনের জন্য  তাগিদ দেন। মেশিনটি প্রাপ্তির দুই বছর পর ২০০৭ সালের  ৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থাপনের পর ‘ইনটেন্সি ফাইন স্ক্রিন’ না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি কার্যকর হয়নি। এরপর গত ২০০৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নারায়ণ চন্দ্র সেন ব্যক্তিগত খরচে ‘ইনটেন্সি ফাইং স্ক্রিন’ ক্রয় করেন এবং বহুল প্রত্যাশিত এক্স-রে  মেশিনটি ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর ব্যবহারযোগ্য হয়।

 

সর্বশেষ খবর