রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

হদিস নেই হাট প্রকল্পের ৫০ লাখ টাকার

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দি গরু হাটের ৩১টি প্রকল্পের ৫০ লাখ টাকার কাজের কোনো হদিস নেই। ৩১ প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ২টি প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ২৯ প্রকল্পের প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রকল্পের সভাপতি ও বামন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল বিশ্বাস। তবে চেয়ারম্যান শহিদুল বিশ্বাসের দাবি, হাটের প্রকল্পের কাজের কোনো সময় নির্ধারণ থাকে না। ফলে ধীরে ধীরে কাজ করা হচ্ছে। এদিকে গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এর অর্থও পুরোটা গত এক মাস আগে ছাড় হয়েছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নীতিমালা অনুযায়ী হাটবাজার ইজারার ১৫ শতাংশ অর্থ-সংশ্লিষ্ট হাটবাজার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মেহেরপুর জেলার বামুন্দি গরু হাট, কসাইখানা উন্নয়নসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দে ৩১ প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষ হয়ে নতুন অর্থবছরের মাঝামাঝি এসেও সে কাজ আলোর মুখ দেখেনি। সরেজমিন দেখা যায়, অনুমোদিত প্রকল্পের বেশির ভাগ কাজই করা হয়নি। ২৮ লাখ টাকার বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে নামমাত্র ভরাট হয়েছে। এ ছাড়াও একটি টিনশেড উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাস্তা এইচবিকরণ, ড্রেন নির্মাণ, কসাইখানার টিনশেড ও মেঝে নির্মাণ, মুরগি ও কবুতর বিক্রির স্থানে টিনশেড লাগানোর কথা থাকলেও এগুলো কিছুই করা হয়নি। অর্থবছর শেষ হয়ে নতুন অর্থবছরের মাঝখানে শেষ হতে চললেও কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। এ হাটের উন্নয়নকাজ আদৌ হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। হাটের কাজ না হওয়ায় তৎকালীন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা খাতুন সব বিল আটকে দিয়েছিলেন।

 সেই সঙ্গে গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে প্রতিটি কাজ বুঝে পাওয়ার পর বিল প্রদান করার নির্দেশ দেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা খাতুন বদলির পর আসেন নতুন নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহানেয়াজ।

আর এম সেলিম শাহানেয়াজ দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতেই হঠাৎ করে প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের সব অর্থ উত্তোলন করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বামন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি শহিদুল বিশ্বাস। বামন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি শহিদুল বিশ্বাস জানান, এই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ধীরে ধীরে কাজ করা হবে। তবে কবে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, কাজ যেমন হয়নি তেমনি প্রকল্পের টাকাও উত্তোলন করা হয়নি। গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ বলেন, এই পকল্পের কাজ আমার আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তার আমলের। এ প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে। জটিলতার জন্য অর্থ প্রদান আটকে ছিল। কয়েক দিন আগে সব অর্থ ছাড় করে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর