রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চিনিকলে ৮১৯ কর্মচারীর বেতনহীন পাঁচ মাস

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

চিনিকলে ৮১৯ কর্মচারীর বেতনহীন পাঁচ মাস

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে পাঁচ মাস ধরে পড়ে রয়েছে ৩৮ টন চিনি ও ৫১ টন মোলাসেস (চিটাগুড়)। ফলে বেতন ছাড়াই কাজ করছেন ৮১৯ শ্রমিক-কর্মচারী। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের। মিল কর্তৃপক্ষ বলছেন, চিনি বিক্রি না হওয়ায় ঠিকমতো বেতন-ভাতা দিতে পারছেন না। তবে অল্প সময়ের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন তারা। এদিকে সুগার মিল করপোরেশনের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্যের চেয়ে বেসরকারি চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়মূল্য কম হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি মিল কর্তৃপক্ষের। জানা যায়, বিগত মৌসুমে সুগার মিলের চিনি অবিক্রীত থাকায় ও তহবিল সংকটের কারণে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে ৮১৯ জন শ্রমিক-কর্মচারীর পাঁচ মাসের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। এতে জীবন ধারণে কষ্ট হলেও মিলে কাজ করছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। সুগার মিলের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৪ হাজার ২১৪ টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৩৫৮ টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৮ টন চিনি ও ৫১ টন মোলাসেস মজুত করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও সুগার মিল এলাকার অধীনে চাষকৃত ৮ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৭৭ হাজার টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সুগার মিলের শ্রমিক আবদুল করিম বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ। ফলে পরিবার- নিয়ে কষ্টে দিন পার হচ্ছে। বেতন না দিলে খাব কী? এরপরও কোনো উপায় না পেয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এদিকে গত ১ অক্টোবর শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ঠাকুরগাঁও সুগার মিল পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন, চিনি শিল্পকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বহির্বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের চিনিকলের আদলে এই চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। মিলের হিসাব বিভাগের কর্মচারী মিলন বলেন, বেতন চাইতে গেলে অফিসাররা বলেন চিনি বিক্রি হয়নি, তাই বেতনও বন্ধ।

সর্বশেষ খবর