মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভরসা কমিউনিটি ক্লিনিক

লালমাই প্রতিনিধি

কুমিল্লার লালমাইয়ে তিন বছরেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে ওঠেনি। উপজেলার আড়াই লাখের বেশি মানুষের ভরসা কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। কভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় হতাশায় ভুগছে স্থানীয় জনগণ। তারা হারাচ্ছে চিকিৎসার মৌলিক সুবিধা। উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে সদর দক্ষিণ উপজেলার আট ও লাকসাম উপজেলার একটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় লালমাই উপজেলা। ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি নিকার ১১৩তম বৈঠকে কুমিল্লার ১৭ ও দেশের ৪৯১তম উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। অনেক মামলা-মোকদ্দমা সত্ত্বেও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রশাসনের সব দফতরের কার্যক্রম চালু হলেও এখনো গড়ে ওঠেনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেবাপ্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য খ্যাত নিয়ন্ত্রিত হয় সদর দক্ষিণ ও লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে।

ফলে জনগণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার আড়াই লাখ মানুষ। তারা নামমাত্র সেবা নিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে। আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ভরসা এখন কমিউনিটি ক্লিনিক। জরুরি চিকিৎসায় হাতুড়ে ডাক্তারের ওপর নির্ভর করছে মানুষ। বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ২০ শয্যা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে চালু করা যাচ্ছে না ইনডোর চিকিৎসাসেবা। এখানে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আউটডোর চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাঁচটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে একজন করে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) আর একজন পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) আছেন। একটু জটিল রোগীকে স্থানান্তর করতে হয় জেলা ও রাজধানীর হাসপাতালে। বিপাকে পড়ছেন রোগী ও অভিভাবকরা। অসাধ্য সাধন করতে হয় তাদের। এ ছাড়া নয় ইউনিয়নে ১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা থাকলেও তাতে নেই কোনো ডাক্তার। দেশের বিভিন্ন শহর থেকে ডাক্তার এসে মাইকিং করে সপ্তাহে এক দিন রোগী দেখে চলে যান। লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার উল্লাহ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, লালমাই উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করলে অল্প সময়ের মধ্যে লালমাইবাসী সুখবর পেতে পারেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর