মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পেশা ছিনতাই ডাকাতি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

তাদের পেশা ছিনতাই ও ডাকাতি। এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা ডাকাতি ছিনতাই করে আসছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে। কখনো পুলিশ পরিচয়ে। আবার কখনো র‌্যাব। আবার অস্ত্র ঠেকিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ দিয়ে গাড়িতে তুলে ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নিতেন সব কিছু। একের পর অপরাধ সংঘটিত হলে তাদের হদিস পাচ্ছিলেন না পুলিশ। ঘুম হারাম হয়ে যায় পুলিশের। এরপর পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এ অপরাধীদের সন্ধানে। তবে কোনো কুলকিনারা করতে পারছিলেন না। সব শেষ গত সপ্তাহে শহরের জিকে এলাকায় এক নারীর সব লুট হয়ে যায়। এরপর পুলিশের কাছে কিছু ক্লু আসে। সেই ক্লু ধরে মাঠে নামে একাধিক টিম। এরপর একজনের খোঁজ মেলে। তারপর তিন সদস্য ধরা পড়ে পুলিশের জালে। আটককৃতরা হলেন ঢাকার সাভারের জমির খানের পুত্র আরিফুল ইসলাম, নোয়াখালীর তোফাজ্জেল হকের ছেলে খোকন মিয়া ও রাজবাড়ী সদরের আব্দুর রবের ছেলে হারুন ওরফে বাবু মিয়া।

গতকাল দুপুরে এক প্রেস বিফ্রিং এ পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা। পুলিশ সুপার জানান, এ পর্যন্ত কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলায় তারা নানা অপকর্ম করে অবশেষে কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে ধরে পড়ল ৩ অপরাধী।  রবিবার রাতে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তাদের টিমের আরও ৮ সদস্য পলাতক রয়েছে। এদের কাছ থেকে একটি কলো রঙের প্রাইভেট দুটি পিস্তল, ছুরি, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাপ সেনাবাহিনীর গেঞ্জি, বুট, নগদ অর্থ, মাদক ও  স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার আরও জানান, নিয়মিত পান করতেন ফেনসিডিল। দিনে কালো গাড়ি নিয়ে চেলাফেরা করতেন শহরে। সুযোগ বুঝে লোকজনকে জিম্মি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ছিনিয়ে নিতেন অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ মানুষের সম্পদ। এদের ধরতে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছিল পুলিশের একাধিক টিম। দীর্ঘ সময় কাজ করার পর অবশেষে তিনজনকে ধরতে পেরেছে পুলিশ। কুষ্টিয়ায় তারা ৬টি ঘটনা ঘটিয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় তারা বহু অপকর্ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। এদের নামে অন্য থানায় আরও মামলা রয়েছে। মামলা দায়েরের পর তিন অপরাধীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর