বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নোয়াখালীতে নালিশ পেলে ক্রোধে জ্বলে বিদ্যুৎ বোর্ড

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী

নোয়াখালীতে নালিশ পেলে ক্রোধে জ্বলে বিদ্যুৎ বোর্ড

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিল প্রণয়ন কাজে স্বেচ্ছাচার চলছেই। সংযোগ না দিয়েই বিল করা, মিটার না দেখে অতিরিক্ত বিল করা, গ্রাহকের কাছে নিয়মিত বিলের কাগজ না পৌঁছানো ‘নিয়ম’ হয়ে গেছে। এসবের ব্যাপারে নালিশ করলে বিউবো গ্রাহকের ওপরই ক্রোধে জ্বলে ওঠে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নালিশকারী গ্রাহককে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

নোয়াখালীতে বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহক ৯৬ হাজার ২৮৯ এবং বাণিজ্যিক গ্রাহক ১৬ হাজার ৫৬৬। বিল নিয়ে বিউবোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিময়-অব্যবস্থাপনার ফলে গ্রাহকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহেদ উদ্দিন জানান, তার বিদ্যুৎ বিল উঠত মাসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। হঠাৎ করে ৩ হাজার ৩০০ টাকা বিল করা হয়। এর পরের মাসে ১০ হাজার ১০০ টাকা বিল। তিনি প্রতিবাদ করায় বিউবোর লোকরা ক্রুদ্ধ হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক লাখ ৮২ হাজার টাকা বিল ধরিয়ে দেয়। পরের তিন মাসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও যথাক্রমে দুই লাখ ৪১ হাজার টাকা, দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং দুই লাখ ৫৪ হাজার টাকা বিল করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার তো সংযোগই কাটা কোন যুক্তিতে ওরা বিল করে? একই অবস্থা চৌমুহনী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের। তিনি বলেন, ‘আমার ছোট্ট দোকান। বিল আসত ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা। সেখানে হঠাৎ করে আমার বিল আসছে এক লাখ ২৯ হাজার টাকা। বিল শুধরে দিতে আমি অফিসে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি।’

একলাশপুর বাজারের ব্যবসায়ী বিজয় চন্দ্র সিং জানান, তিনি ৮ বছর আগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেন। কয়েক বছর অপেক্ষা করেও সংযোগ না পাওয়ায় ব্যবসা শুরু করতে পারেনি। কিন্তু ৮ বছর পর এখন তার নামে ৩৫ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত বিল না দিয়ে এক সঙ্গে কয়েক মাসের বিল দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর