বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার সেবাপ্রার্থীরা

সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছাতক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন ৪৫টি মৌজার জমি খারিজ সংক্রান্ত রেজিস্টারের (ভলিউম) পাতা গায়েব করে নানা অপরাধ করে যাচ্ছে একটি চক্র। রেজিস্টারের পাতা গায়েব হওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। নাম খারিজে দীর্ঘসূত্রতায় ঘুরপাক খাচ্ছেন তারা। অনেক ক্ষেত্রে ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসে রক্ষিত রেজিস্টারের মধ্যে মিল না থাকায় ভুয়া নাম খারিজ করে অন্যের ভূমি দখল করছে প্রভাবশালীরা। সঠিক কাগজপত্র দেখিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে। জনস্বার্থে দুটি অফিসের রেজিস্টারের মধ্যে সমন্বয় করে জমি সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা এবং বলিউমের পাতা গায়েবের সঙ্গে জড়িতদের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবি সেবাপ্রার্থীদের। সুনামগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, নামজারি জমির মালিকানার সপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড। এই রেকর্ড জমিতে মালিকের দখল প্রমাণ করে। এটি ছাড়া জমির খাজনা পরিশোধ করা যায় না। পাশাপাশি জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রেও নামজারির কাগজ প্রদর্শন করতে হয়। ভূমি অফিসে যদি এটি সঠিকভাবে সংরক্ষিত না থাকে তবে বিবাদিত জমির দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন জটিল হয়ে ওঠে। ছাতক সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নারায়ণ দাস বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে এই অফিসে যোগদান করেছি। এসে দেখেছি নামজারি রেজিস্টারের অনেক পাতা ছেঁড়া। একটি চক্র পাতা গায়েবের সঙ্গে যুগের পর যুগ ধরে জড়িত। আমরা নিয়মিত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আসছি। ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল বলেন, রেজিস্টারের পাতা অনেক দিন আগ থেকে ছিঁড়াফাটা। এটা একদিনে হয়নি। আমরা এর বিপরীতে নিয়মিত অ্যাকশনে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি নাম খারিজ মামলার শুনানির সময় জাল কাগজপত্র উপস্থাপন করায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় চলবে। সূত্র জানায়, অফিসের নাম খারিজ রেজিস্টার দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর