বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে আগর চাষে অপার সম্ভাবনা

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে আগর চাষে অপার সম্ভাবনা

রপ্তানিযোগ্য ও লাভজনক উৎকৃষ্ট বা সুগন্ধি বিশিষ্ট কাঠ জাতীয় আগর গাছের পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে দিনাজপুরে। দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগর অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করেই এ ব্যবসায় বেশি মুনাফা আয় করা সম্ভব। আগর চাষ অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। রপ্তানিমুখী এ শিল্পের বিকাশে আগর গাছের ওপর গবেষণা জোরদার, চাষ সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনাসহ প্রক্রিয়াজাতকরণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পরিবেশ বান্ধব এই আগর শিল্পের মাধ্যমে যেমন রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে এমনটাই ভাবছেন স্থানীয়রা। আগরের সুগন্ধ প্রশান্তিদায়ক। আগর গাছের কাঠ থেকে সুগন্ধি, আতর, আগরবাতি তৈরি হয়। আগর কাঠের গুঁড়া বা পাউডার ধূপের মতো জ্বালিয়ে সুগন্ধি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও নানাবিধ ওষুধ, পারফিউম, পারফিউম জাতীয়-সাবান, শ্যাম্পু এসব প্রস্তুতে আগর তেল ব্যবহার করা হয়। তাই অনেকেই আগরের নির্যাসকে তরল সোনা হিসেবেও বিবেচনা করেন। দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের উদ্যোগে দলগতভাবে আগর চাষ হচ্ছে। দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে পরীক্ষামূলক শুরু করেছে ‘আগর’ বাগান। স্থানীয় ব্যক্তিদের উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে এই আগর বাগান গড়ার কার্যক্রম শুরু করে বন বিভাগ। দিনাজপুর সদরের ফরেস্ট রেঞ্জের আওতায় বিরল উপজেলার ধর্মপুর শালবনের কালিয়াগঞ্জ, বিরামপুর চরকাই রেঞ্জের আওতায় কালিশহর শালবন এবং নবারগঞ্জে ভাদুরিয়া এবং বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টের ৩৩ একর জমিতে এ আগরের বাগান করা হয়েছে। বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার পাশে, পতিত জমি, টিলার ঢালে, টিলা বা পাহাড়ে এমনকি পরিত্যক্ত জায়গায় আগর গাছ লাগানো যায়। পাহাড় বা টিলা জমিতে আগর গাছ ভালো জন্মে। তবে সব জমিতেই কমবেশি জন্মে। বর্ষা মৌসুম অর্থাৎ বাংলাদেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে আগর গাছের চারা রোপণের ভালো সময়।

সর্বশেষ খবর