বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বপ্ন দেখছেন সবজি চাষিরা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

স্বপ্ন দেখছেন সবজি চাষিরা

দফায় দফায় বন্যার পর বগুড়ার সবজি চাষিরা আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। বন্যায় আমন ধান ও মরিচের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবজির বাম্পার ফলনের দিকে তাকিয়ে আছেন চাষিরা। বগুড়া অঞ্চলে সবজির খেতগুলো নতুন করে সবুজে সেজে উঠছে। কৃষি বিভাগ বলছে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রায় সোয়া ৩ লাখ মেট্রিক টন সবজির ফলন পাওয়া যাবে। বগুড়ার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন অনেক কৃষকই বাড়তি লাভের আশায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করেছেন। মুলা, শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, করলা, লাউ, কাঁচা মরিচ, ঢেঁড়স, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, টমেটোসহ কিছু কিছু সবজি বাজারে পাওয়া গেলেও মূল চাষের ফলন নামতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। বগুড়ার ১২ উপজেলার মধ্যে সদর, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, সারিয়াকান্দি গাবতলী উপজেলা সবজি এলাকা হিসেবে পরিচিত। এসব উপজেলায় বছরের ১২ মাসই রকমারি সবজি ফলান কৃষকরা। বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস বলছে, করোনাভাইরাসে সবজির সরবরাহ যেন স্বাভাবিক থাকে সে দিকে লক্ষ্য রেখে চাষিরা সবজি চাষে মাঠে নেমেছে। এখন পর্যন্ত আগামজাতের শীত সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে। জেলায় চলতি বছর চাষের জন্য মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৮১৩ হেক্টর। শীত সবজি চাষাবাদ চলমান থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন। এর আগে গত ২০১৮ সালে বগুড়া জেলায় রবি মৌসুমে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শবজি চাষ করা হয়। আর ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন। আর ২০১৯ সালে রবি মৌসুমে জেলায় ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রকমারি সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। যা থেকে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। হিসেব অনুযায়ী ফলন ধরা হলেও চাষিরা আগামজাতের উচ্চ ফলনশীল চারা রোপণ করায় ফলন আরও বৃদ্ধি পায়।

সর্বশেষ খবর