কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের এক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত উপ-সহকারী কর্মকর্তার নাম মো. নজরুল ইসলাম। তবে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইতিমধ্যেই ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিলুফা সুলতানা। অভিযোগে জানা যায়, ওই উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা  নজরুল ইসলাম জমির মালিকানা নির্ধারণে নামজারি ও খারিজ করতে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবি করেন।

 জমির বিভিন্ন কাজে আসা ব্যক্তিদের কাছে। এছাড়া তিনি জমির পরিমাণ কিংবা ব্যক্তির অবস্থা দেখে ঘুষের টাকার পরিমাণ কমবেশি করতেন। দীর্ঘদিন যাবৎ এ অবস্থা তার অফিসে চলতে থাকায় ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা বেগমের অভিযোগ, আমার জমির নাম খারিজের জন্য ৫ হাজার টাকা দিই। কিন্তু তিনি টাকা নিলেও মাসের পর মাস কোনো সমাধান দিতে পারেননি। অপরদিকে বিধবা নারী রোদেলা বেগম জানান, তার জমির নাম খারিজের জন্য ৬ হাজার টাকা তিনি দাবি করলে আমি তাকে তিন হাজার টাকা দিয়েছি। পরে টাকা দিতে না পারায় তার জমি খারিজ হয়নি। অপর এক ভুক্তভোগী আবদুল কালাম জানান, আমার জমির খাজনা দিতে গিয়েছিলাম। তিনি আমার কাছে ৮২ হাজার টাকা দাবি করেছেন। কয়েক দিন ঘোরাঘুরি করে স্থানীয় এক বাসিন্দার সহযোগিতায় ১৫ হাজার টাকায় ওই কাজ শেষ করেন। এ ব্যাপারে আন্ধারীঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ  খোকন জানান, ওই উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ‘জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পে’ টাকার বিনিময়ে তালিকা করারও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম দাবি করে বলেন, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সরকারি চাকরির আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে পারেন না। তাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।