শিরোনাম
শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

পৌরসভা নির্বাচন ভোটের হাওয়া

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

দীর্ঘ ৯ বছর পর আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচন। অন্যবারের তুলনায় এবারের নির্বাচনে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এবার ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে বর্ধিত পৌরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করতে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ২৭টি ওয়ার্ডে উন্নিত করা হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন না হওয়াতে এবার বর্ধিত পৌরসভা হিসেবেই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন  ঘোষণা না করে পৌরসভা নির্বাচন করায় গত বুধবার হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন বর্ধিত পৌরসভার জনৈক ভোটার আতিয়ার রহমান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ৬ মাসের জন্য ভোট স্থগিত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন হাই কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিল করে। সে আপিলে হাই কোর্টের চেম্বার জজ আদালত হাই কোর্টের দেওয়া নির্বাচন স্থগিতের আদেশটি ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষনা করেন। ফলে ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আর কোনো বাধা নেই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রচারণায় মাঠে নামেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও স্বতন্ত্র চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর কাউন্সিলর পদে ১৯৪ জন প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বোস, বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে নায়াব ইউসুফ আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, বর্তমান মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাফেজ আব্দুস সালাম। মেয়র পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ছাপিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটি বিষয় বেশ আলোচনা চলছে। আর তা হলো, ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা। এবারই প্রথম ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএমএ ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা মাঠে নেমে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। গোটা এলাকায় এখন ছেয়ে গেছে পোষ্টারে। মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় জমজমাট এখন পৌর এলাকা। প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সময় কম থাকায় প্রার্থীরা রাত-দিন প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

সর্বশেষ খবর