শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

উদ্বোধনের ১৪ বছরেও চালু হয়নি হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

উদ্বোধনের ১৪ বছরেও চালু হয়নি হাসপাতাল

নন্দীগ্রাম ২০ শয্যার হাসপাতাল ভবন

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২০ শয্যা হাসপাতাল শুধু নামেই রয়েছে। উদ্বোধনের ১৪ বছর পার হলেও শুরু হয়নি সেবা কার্যক্রম। ওটিসহ মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম যেভাবে আনা হয়েছিল সেভাবেই রয়েছে। ধুলাবালির স্তূপ পড়েছে সেগুলোর ওপর। নেই কোনো নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। একজন মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্ট ও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে বহির্বিভাগ। হাসপাতালটি নির্মাণে সরকারের সাড়ে তিন কোটির বেশি টাকা খরচ হলেও চালু না হওয়ায় এলাকাবাসীর কাজে আসছে না। অব্যবহৃত পড়ে থেকে বিছানা ও আসবাবপত্রে ময়লার আস্তরণ জমেছে। খুলে পড়ছে দরজা-জানালা। নজরদারি না থাকায় হাসপাতাল ভবনে বেড়েছে বখাটেদের আড্ডা। জানা যায়, নন্দীগ্রাম ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান ৯ কিলোমিটার দূরে বিজরুল বাজারে। উপজেলা সদরে কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় পৌর শহরসহ আশপাশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। এ কারণে উপজেলা সদরে একটি আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১-০২ অর্থবছরে উপজেলা সদরে ২০ শয্যার অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০২ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০০৫ সালে শেষ হয়। জনবল নিয়োগ ছাড়াই ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১৪ বছরেও জনবলের অভাবে চালু হয়নি। হাসপাতালের ক্যাম্পাসজুড়ে ঘাস ও লতাপাতা গজিয়েছে। নষ্ট হতে চলেছে ভবনগুলো। নন্দীগ্রাম ২০ শয্যার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক ও স্টোর রুম ছাড়া সব কক্ষে তালা। একটি কক্ষে চলছে বহির্বিভাগের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার উম্মে হাসনা বানু জানান, ‘প্রতিদিন এখানে ৬০-৭০ জন রোগী আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘জনবলের অভাবে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা যাচ্ছে না।

লোকবল চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে’। বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের এমপি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘২০ শয্যা হাসপাতালটি চালু করার বিষয়ে সংসদে কথা বলেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর