শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পঞ্চগড়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

পঞ্চগড় পৌরসভায় প্রথম ধাপে আগামী ২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং, শোডাউন, উঠান বৈঠক করে ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকে ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেছে। ভোটাররা মনে করছেন আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে মূল লড়াই হবে নৌকা আর ধানের শিষে। যদিও জাগপার হুক্কা নিয়ে একজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

আওয়ামী লীগ থেকে আটজন প্রার্থী মনোনয়ন চাইলেও এই দৌড়ে জিতেছেন জাকিয়া খাতুন। তিনি আগের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েছেন। জাকিয়া খাতুন স্কুলশিক্ষক। আওয়ামী রাজনীতি শুরু করেছেন ছাত্রলীগ থেকে। বর্তমানে জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন দলের সবাই এক হয়ে কাজ করলে এবার এখানে নৌকা জয়ী হবে। কয়েকজন কর্মী জানান, নৌকা বিজয়ী করতে নেতা-কর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করা উচিত। বিভাজন হলে বিরোধীরা তার ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবে। জাকিয়া খাতুন জানান, আমরা সব দ্বন্দ্ব মতভেদ ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী এক হয়ে আমার জন্য কাজ করছে। এবারের নির্বাচনে অবশ্যই নৌকা জিতবে। বিএনপি থেকে নির্বাচন করছেন তৌহিদুল ইসলাম। তিনি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক। এই পৌরসভায় ৫ বার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। এ পৌরসভায় বিএনপিতে রয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। যদিও সবাই একজোট হয়ে তৌহিদুল ইসলামকে সমর্থন জানিয়েছেন। তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দলে কোনো বিভাজন নেই। সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) থেকে নির্বাচন করছেন শাহরিয়ার বিপ্লব। জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সফিউল আলম প্রধানের বাড়ি এখানে হওয়ায় একসময় জনপ্রিয় ছিল দলটি। বর্তমানে খুব বেশি কার্যক্রম নেই। জেলা শহর অন্তর্গত ২২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে।  আবার মেয়র পদে তিনজন এবং কাউন্সিলর পদে ৫৪ জন প্রতিযোগিতা করছেন। জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, মোট ১৫টি কেন্দ্রের ৯৭টি কক্ষে এই পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৯ জন। জেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর জানান, পৌরসভা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ইভিএম যন্ত্রও পৌঁছে গেছে।

সর্বশেষ খবর