রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অপমানের প্রতিশোধ নিতে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা

৫ বছর পর রহস্য উদঘাটন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়াকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পড়নের লুঙ্গি দিয়ে পা ও শার্ট দিয়ে হাত বেঁধে গুম করার উদ্দেশ্যে লুঙ্গি ও শার্টের ভিতর ইট ও পাথরের টুকরা ঢুকিয়ে লাশ ডুবিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পাঁচ মাস পর এ হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিশোরগঞ্জ পিবিআই পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন জানান, গত ৩ ডিসেম্বর এ মামলার সন্দেহজনক আসামি নিকলীর ইসলামপুর গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম, মীর হোসেনের ছেলে শরীফুল ইসলাম ও দামপাড়া গোয়ালহাটি গ্রামের নবী সরদারের ছেলে মাহাজুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ সুপার জানান, আসামি তাজুল, শরিফুল ও মাহাজুলের সঙ্গে হেলালের বন্ধুত্ব ছিল। তাজুল ও হেলাল নিকলী দামপাড়ার একটি খামারে কাজ করতেন। হেলাল হত্যার ৭-৮ দিন আগে আসামি তাজুলের দুই মাসের বকেয়া বেতন নেওয়ার জন্য তার বাবা মমিন মিয়া খামারে যান। এ সময় তাজুল ও মালিক ইসরাইল খামারে ছিলেন না। এ অবস্থায় দুই মাসের বকেয়া বেতন হেলালের কাছে দাবি করেন মমিন। হেলাল মালিকের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ার জন্য বলেন। মমিন এরপর একাধিকবার টাকা চাওয়ায় হেলাল উত্তেজিত হয়ে তাকে চড়থাপ্পড় মারেন। তাজুল তার বাবার কাছ থেকে ঘটনা জেনে অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। বিষয়টি নিয়ে আসামি শরিফুল ও মাহাজুলের সঙ্গে আলোচনা করেন তাজুল। একপর্যায়ে তারা হেলালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

২০১৫ সালের জুন মাসে তিনজন মিলে হেলালকে পুকুরের পানিতে ফেলে ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মামলাটি পর্যায়ক্রমে নিকলী থানার পাঁচজন কর্মকর্তা তদন্ত করেও রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা পিবিআইতে হস্তান্তর করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর