রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ ব্যানার-ফেস্টুনে সয়লাব

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ ব্যানার-ফেস্টুনে সয়লাব

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। কে হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী তা নিয়ে পাড়া-মহল্লায় থেকে চায়ের কাপে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সৎ  ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্য ভোটারাও  বেশ উৎসাহী। সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহর। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিদিন বৈঠকের মাধ্যমে সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করছেন। সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থী প্রচারণায় নেমেছেন। সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা সিরাজী নির্বাচিত হন। বিএনপি প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী। এবার আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অ্যাডভোকেট কে এম. হোসেন আলী হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক দানী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র সেলিম আহমেদ প্রচারণার মাঠে নেমেছেন। অন্যদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, যুগ্ম সম্পদক নুর কায়েম সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক মুন্সী জাহিদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান ও যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু প্রচারণায় নেমেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী  অ্যাডভোকেট হোসেন আলী হাসান জানান, স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ’৭১ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। দল থেকে মনোনয়ন পেলে আমার প্রাণের সিরাজগঞ্জ শহরকে আধুনিক রূপে গড়ে তুলব। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, ছাত্রজীবন থেকে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। করোনাসহ যে কোনো দুর্যোগে সবসময় জনগণের পাশে রয়েছি। কখনো কখনো মানুষ আমার কাছ থেকে শূন্য হাতে ফিরে যায়নি। এবার পৌর নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব। এ ছাড়ও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্যান্য প্রার্থীরা একইভাবে দলের জন্য নিজেদের ত্যাগ- নির্যাতন ও মানব কল্যাণে কাজ করার বিষয়গুলো তুলে ধরে দলীয় মনোনয়নের পাশাপাশি জনসমর্থন পেতে কোমড় বেঁধে মাঠে  নেমেছেন। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর