সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী ২, বিএনপিতে ১

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী ২, বিএনপিতে ১

ভোটের প্রচার-প্রচারণায় জমজমাট কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকা। স্বাধীনতার পরে এ পৌরসভা ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এটি পর্যায়ক্রমে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। গত ২০০৫ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রাম পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা লাভ করে। কিন্তু এখনো প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত এ পৌরসভার বাসিন্দারা। আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফা সারা দেশে একযোগে ২৫টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। সে অনুযায়ী কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কুড়িগ্রাম পৌরবাসীর প্রত্যাশা, এবার নতুন মেয়র নির্বাচন হবে। সে সুযোগ-সুবিধা পাবেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়ানুযায়ী বিভিন্ন দলের মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোসহ পৌরসভার ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে কে হতে যাচ্ছেন পৌরপিতা। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েছেন বিভিন্ন দলের মেয়র প্রার্থীরা। কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির এক সময়ের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রামের এবারের পৌর নির্বাচনে তাদের কোনো প্রার্থী নেই। বিগত দিনগুলোতে পৌর নির্বাচনে এ দলটি কোনো প্রার্থী দেয়নি। তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনজন। আর বিএনপির হয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন দুজন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের একজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। সব মিলে মেয়র পদে এ পৌরসভা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন বোর্ডে দলের একজনই মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি হচ্ছেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম। এ ছাড়াও আরও দুই আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দলের তৃণমূলের ভোটে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ মোস্তাফিজার রহমান সাজু ও একই দলের সাইদুল হাসান দুলালও শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন জমা দেন। তবে কোনো দলীয় প্রার্থী তাদের নির্বাচনী ইসতেহার এখনো প্রকাশ করেননি। এ ছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বেবু ছাড়াও সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মো. আবদুল মজিদ। শেষ মুহূর্তে প্রধান দুই দলে বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় ভোটের মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রধান দুটি দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগে বিভাজন থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে থাকার চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে বেগ পেতে হবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের। অন্যান্য দলের প্রার্থীদের পক্ষে তেমন কোনো সারা পাওয়া যায়নি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, আসন্ন কুড়িগ্রাম পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২৯ হাজার ৪৮জন আর পুরুষ ভোটার ২৭ হাজার ৩৪৭ জন। পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার ১ হাজার ৭০১জন বেশি। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ২৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ খবর