বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কুয়াকাটার মেয়র পদে চার প্রার্থী

সঞ্জয় কুমার দাস, পটুয়াখালী

কুয়াকাটার মেয়র পদে চার প্রার্থী

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছে। এই তিন রাজনৈতিক দলের চার প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করছেন। কুয়াকাটা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র আ. বারেক মোল্লা পুনরায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত হয়ে তার অবস্থান ধরে রাখতে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। কুয়াকাটা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল আজিজ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুয়াকাটা শাখার সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম মুসল্লি এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাতীয় পার্টির কুয়াকাটার সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হাওলাদার। আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন আর সংরক্ষিত আসনে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৭৭ জন পুরুষ আর মহিলা ৩ হাজার ৯৪৫ জন। ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৯টি কেন্দ্রে ৩৬টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে।  প্রতীক বরাদ্দের আগেই কেউ চুপিসারে আবার কেউ প্রকাশ্যে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর কুয়াকাটা দ্বিতীয় বারের মতো পৌরসভা নির্বাচন। ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। পয়লা ডিসেম্বর মেয়র পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়ে গেছে। প্রতীক বরাদ্দ আগামী ১০ ডিসেম্বর। নিজ নিজ দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। জয়লাভ করতে ভোট প্রার্থনা করে ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে প্রার্থী পৌরসভার উন্নয়ন করতে পারবেন তাকেই ভোট দেবেন তারা। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা কুয়াকাটাকে যে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে পারবেন তাকেই ভোট দেবেন এমনটাই বলছেন ভোটাররা। তবে আওয়ামী লীগের নেক নজরে থাকা পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর আলাদাভাবে দেখছেন ভোটাররা। বর্তমান মেয়রের সময় কুয়াকাটা পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তাই পুনরায় নির্বাচিত হলে কুয়াকাটা একটি মডেল পৌরসভায় রূপ নেবে বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। কিন্তু অন্তরায় হিসেবে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে ভাবাচ্ছে সচেতন মহলকে। এদিকে কুয়াকাটায় প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দীর্ঘ কয়েক বছর ক্ষমতার বাইরে থাকায় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে চুপিসারে প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থী মো. আবদুল আজিজ। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে কুয়াকাটায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আমি দিনরাত শ্রম দিয়ে সেই উন্নয়নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া এই কুয়াকাটা উন্নয়ন কর্মকান্ড  হয়নি। বিএনপি প্রার্থী মো. আবদুল আজিজ বলেন, গত পাঁচ বছরে এই কুয়াকাটায় দলীয় স্বজনপ্রীতি দেখেছি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। ভোটারদের মূল্যবান ভোট দিয়ে যদি আমাকে বিজয়ী করে তাহলে দলমত নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার পাবেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম মুসল্লি বলেন, প্রচার-প্রচারণা চলছে।

, তবে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মাঠে নামব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়লাভ করবেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। এর আগে জাতীয় পার্টি থেকে কুয়াকাটা মেয়র নির্বাচন করেছি। নৌকা থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্থানীয় জনগণের চাওয়া পাওয়ার জন্যই আমি স্বতন্ত্র হিসেবে মেয়র প্রার্থী হয়েছি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি জয়ী হব। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভায় ইভিএমএ ভোটগ্রহণ করা হবে। তাই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের ভোটারদের ভোট দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হবে কুয়াকাটায়।

সর্বশেষ খবর