বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কুয়াশায় ফেরি বন্ধে দুর্ভোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

কুয়াশায় ফেরি বন্ধে দুর্ভোগ

কুয়াশার কারণে ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘনকুয়াশার কারণে গতকাল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১১ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকার কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। দীর্ঘ সময়ে অপেক্ষায় থাকার কারণে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১০টা থেকে পদ্মা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেলে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঘাটের উভয় পাড় থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোর মধ্যে ৩টি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব হ্রাস পেলে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘসময় দৌলতদিয়া এ রুটের ১৬টি ফেরি বন্ধ থাকার কারণে ঘাটের উভয় পাড়ে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। গতকাল সকালে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস এবং পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ছে। এছাড়া গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪ কিলোমিটার এলাকায় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

ট্রাকচালক মো. কালাম শেখ বলেন, আমরা ঝিনাইদহ থেকে বিকেলে দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে আটকে যাই। রাত ১১টার দিকে মৃষ্টিকুমড়া নিয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। এখন সকাল ১০টার সময় ঘাট এলাকায় আটকে রয়েছি। আরও ৩ ঘণ্টা পর ফেরি নাগাল পেতে পারেন বলে তিনি জানান। বাসযাত্রী হেনা বেগম বলেন, ১১ ঘণ্টা ঘাট এলাকায় আটকে রয়েছি। খোলা আকাশের নিচে বাসের মধ্যে অবস্থান করছি। রাস্তার দুইপাশে কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত টয়লেট। নিরাপত্তার ব্যবস্থা সেভাবে ভালো মনে হয়নি। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আবদুল্লাহ রণি বলেন, পরপর দুই রাত কুয়াশার কারণে প্রায় ২১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে। যে কারণে ঘাটের দুর্ভোগ কাটিয়ে উঠতে কষ্ট হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তাদের কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। তবে তাদের দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে হবে তাদেরকে রাতে নৌপথ পরিহারের অনুরোধ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর