বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মেঘনায় সন্ত্রাসীদের মহড়া জেলেরা আতঙ্কে

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার মদনপুর ইউনিয়নের মেঘনায় খুঁটাজাল পেতে নদীর কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী একটি চক্র। তাদের বাঁধার মুখে সাধারণ কোনো জেলে নদীতে জাল নিয়ে নামতে পারছে না। কেউ নামলেই মারধরের শিকার হতে হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় জাল ও নৌকা। গত সোমবার স্থানীয় জেলেরা একত্রিত হয়ে খুঁটাজালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে প্রভাবশালীদের সন্ত্রাসী বাহিনী জেলেদের ওপর হামলা চালায়। আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নদীতে অস্ত্রের মহড়া দেয়। এ সময় জেলেদের ধাওয়া করে। সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গিয়ে মদনপুর ইউনিয়নের তিন চৌকিদার গুরুতর আহত হন। গতকাল ওই চলে দেখা যায়, গেলে কয়েকশ নারীপুরুষ আতঙ্কিত হয়ে নদীর তীরে বসে আছেন। ওই চরের জেলেদের একটি প্রভাবশালী গ্রুপ মেঘনা নদীতে বড় বড় খুটা গেড়ে জাল দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে। মেঘনার ওই এলাকায় কেউ জাল ফেলতে পারে না। জাল ফেললেই মারধর করা হয়। জাল নৌকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি এর মদনপুর এলাকার সাধারণ জেলেরা এর প্রতিবাদ করলে গত সোমবার জেলেদের ওপর চড়াও হয় সন্ত্রাসী গ্রুপ।

প্রত্যক্ষদর্শী চরবাসী জানান, সোমবার ৫টি স্পিডবোট এবং দুটি ট্রলার নিয়ে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নদীতে মহড়া দিয়ে জেলেদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে নদী থেকে উঠে চরে এসে হানা দেয়। হামলা চালায়। গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। তখন আতঙ্কিত জেলে পল্লীর নারী শিশুরা বাড়িঘর ছেড়ে ধান খেতে গিয়ে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করে। জেলেরা অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে এরা কোটি কোটি রেনু পোনা নষ্ট করছে। রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের লোকজন তাদের বাধা দিচ্ছে না। সাধারণ জেলেরা এর প্রতিবাদ করলে গুলিবর্ষণ করে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নান্নু ডাক্তারের নির্দেশে ওই এলাকায় ছুটে যান ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মহিউদ্দিন, আবদুল মান্নান, মো. হেলাল উদ্দিন। সন্ত্রাসীরা তিন গ্রামপুলিশকে বেঁধে পিটিয়ে আহত করে। এখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে জেলেরা নদীতে নামতে পারছে না। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র রাত কাটাচ্ছে। সাধারণ জেলেরা এখন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সর্বশেষ খবর