বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কিশোরগঞ্জে ভূমি কর্মকর্তার মৃত্যু পরিবারের দাবি হত্যা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বলে প্রচার হওয়া আতিকের লাশের পাশে কোমড়ের বেল্টটি খোলা অবস্থায়  পড়েছিল। তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি (টিভিএস স্টাইকার) সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেছে। অপর একটি মোটরসাইকেল (হিরো স্পেøন্ডার) মোটরসাইকেলটি বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। তবে এর চালক সাইফুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র দুর্ঘটনা হলে সাইফুল পালিয়ে যেত না। তাছাড়া চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে হাত, পা কিংবা মুখমন্ডলের কোনো স্থানের চামড়া উঠে যেত। এ সবের কিছুই হয়নি আতিকের। বরং আতিকের মাথার পিছনের অংশ ভাঙা ও থেতলানো ছিল। নিহত সৈয়দ আতিকুর রহমানের (৪৬) ছোট ভাই সৈয়দ আহসানুল আদিল কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, এটা নিছক                সড়ক দুর্ঘটনা হয় কেমন করে। এটাকে তিনি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেন।

রবিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে কিশোরগঞ্জ-চামটা সড়কের করিমগঞ্জ উপজেলার মনসন্তোষ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে আতিককে করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত এবং কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার সৈয়দ আবু শাহিদের ছেলে। তার ছোট ভাই আদিল আরও জানান, বাদলা ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি অনেক খাস জমি তার নিজ নামে নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা আতিককে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তিনি। এমনকি ৩ লাখ টাকা ঘুষও দিতে চেয়েছিলেন রেজাউল। কিন্তু আতিক অন্যায় দাবি মেনে নেননি। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন রেজাউল। এ থেকে রেজাউল তার শ্যালক সাইফুলকে দিয়ে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে তাদের ধারণা। সৈয়দ আতিকুর রহমানের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে গতকাল সকালে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন তার পিতা আবু শাহীদ। মামলায় আসামি করা হয়েছে করিমগঞ্জ উপজেলার পুরান চামটা (ভূইয়া হাটি) গ্রামের মৃত অহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬) ও অজ্ঞাত দুই তিনজনকে।

সর্বশেষ খবর