বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিএনপির দুর্গ দখলে মরিয়া আওয়ামী লীগ

পৌরসভা নির্বাচন মোংলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বিএনপির দুর্গ দখলে মরিয়া আওয়ামী লীগ

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় সমর্থন ও মনোনয়ন পেতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। সবশেষ ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে মেয়র পদে জুলফিকার আলীসহ আটটি কাউন্সিলর ও দুটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে জয় পান বিএনপি প্রার্থীরা। একটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হন। এবার বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত মোংলা পোর্ট পৌরসভা দখলে নিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। মোংলা বন্দর ও শ্রমিক অধ্যুষিত এ পৌরসভার ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকরা দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের স্থানীয় নেতা, সংসদ সদস্য, খুলনা সিটি মেয়রসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ছুটছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ ডিসেম্বর মোংলা পোর্ট পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিল ও ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাগেরহাট বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, মোংলা হচ্ছে বিএনপির দুর্গ। এখানে আবারও বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলরা নির্বাচিত হবেন। বর্তমান মেয়র  জুলফিকার আলীসহ নির্বাচিত আটটি কাউন্সিলর ও দুটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরকে বিএনপি থেকে এবারও মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি একটি কাউন্সিলর ও একটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও তিনটি সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে অর্ধশতাধিক সম্ভাব্য কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এবং চারজন মেয়র প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। মেয়র পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ চারজন প্রার্থীর নাম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। এই চার প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী ইজারাদার, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রহমান, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, মোংলা উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন। এখন মেয়র পদে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে দলটি। মোংলা পোর্ট পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মনোনয়ন বিতরণ কমিটির পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন মিলন জানান, আমরা এবার জয় পেতে সাংগঠনিকভাবে তৎপর রয়েছি। একাধিক প্রার্থী থাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে ৪ ডিসেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে।

সর্বশেষ খবর