শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শেরপুরে প্রার্থী মনোনয়নে জটিলতা কাটছেই না

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শেরপুরে প্রার্থী মনোনয়নে জটিলতা কাটছেই না

দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে জটিলতা কাটছেই না। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে উপেজলা আওয়ামী লীগে বিরোধ এখন তুঙ্গে। বলা হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু দলে পরিবারতন্ত্র বাস্তবায়ন করছেন। যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলছেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা।

অভিযোগ রয়েছে, দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ছেলেকে মেয়র প্রার্থী করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরই ধারাবাহিকতায় তড়িঘড়ি করে প্রার্থী বাছাইয়ের নামে পৌর কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভাও ডাকা হয়। সেখানে দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে নেতা-কর্মীদের চাপ দিয়ে ছেলে সারোয়ার রহমান মিন্টুর পক্ষে সমর্থন বাগিয়ে নেন তিনি। একই সঙ্গে তাকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বর্ধিত সভার রেজুলেশন তৈরি করে দলের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়। এ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী চার প্রার্থী ওই সভা বর্জন করেন। এমনকি তারা উপজেলা বর্ধিত সভার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন জানান। সেখান থেকেই মেয়র পদের দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। তারা হলেন- বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বীয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক। শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বীয় বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ছেলে সারোয়ার রহমান মিন্টু একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি কখনো মাঠ পর্যায়ে রাজনীতি করেননি। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে এবং গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন করা হোক। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেন, পৌরসভার সব ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ তৃণমূল নেতা-কর্মীর সমর্থনের কারণেই সারোয়ার রহমান মিন্টুকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য শেরপুর পৌর কমিটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এক্ষেত্রে চাপপ্রয়োগ বা প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নই ওঠে না। দলের সংবিধান মেনেই যথাযথভাবে বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়। অহেতুক কাল্পনিক অভিযোগ তুলে কোনো লাভ নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর