শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভোটের লড়াই হবে বড় দুই দলে

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

ভোটের লড়াই হবে বড় দুই দলে

মনোনয়ন দাখিলের পরপরই জমে উঠেছে আসন্ন কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচন। ভোটাররা বলছেন, দেশের বড় দুই দলের প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে জয়-পরাজয়ের লড়াই। বাজার, পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকান- সবখানেই আলোচনার মূল বিষয় এ নির্বাচন। এ পৌরসভায় মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন দুজন প্রার্থী। এরা হলেন বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী তারিকুল ইসলাম এবং বিএনপি মনোনিত প্রার্থী নাফিজ আহমদ রাজু। এরই মধ্যে দুই প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ কীভাবে দখলে রাখা যায় সে কৌশল ঠিক করতে নিজের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। দুই প্রার্থীই তাদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এবার দুই প্রার্থীর মধ্যে ভালো লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। গত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী তারিকুল ইসলামের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দি¦তা হয়েছিল দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আল মাসুম মুর্শেদ শান্তর। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাফিজ আহমদ রাজু প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে ছিলেন ৩ নম্বরে। এবারের নির্বাচনে প্রথমে আওয়ামী লীগের টিকিট পান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মুর্শেদ শান্ত। কিন্তু নাটকীয়ভাবে গত ৩০ নভেম্বর তার মনোনয়ন বাতিল করে বর্তমান মেয়র তারিকুল ইসলামকে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিএনপিতে এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন ওই পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত মেয়র আনোয়ার আহমেদ খানের ছেলে নাফিজ আহমদ রাজু। দুই প্রার্থী মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে নির্বাচনীয় কৌশল ঠিক করতে দিন-রাত কাজ করছেন। তবে বিএনপির প্রার্থী নাফিজ আহমদ রাজু অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। তার অভিযোগ প্রচার-প্রচরণায় এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন শুরু করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এবার ইভিএমএ ভোট হবে। আওয়ামী লীগের লোকেরা বলে বেড়াচ্ছে ধানের শীষে ভোট দিলেও ভোট নৌকায় চলে যাবে। ভোট দিতে কেন্দ্রে এসে লাভ নেই। বিএনপি প্রার্থী বলেন, মানুষ ভোট কেন্দ্রে এসে নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে তিনি শতকরা ৭৫ ভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করবেন। তবে বিএনপি প্রার্থীর করা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী তারিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তারিকুল ইসলাম বলেন, গতবার দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল, কিন্তু এবার তিনি একক প্রার্থী। এ কারণে এবারের নির্বাচনে দলের নেতা-কর্মীরা তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবে। তিনি বলেন আগামী ২৮ তারিখে তিনি নৌকার জয়ের কোনো বিকল্প দেখছেন না। রিটার্নিং অফিসার আবু আনসার খান বলেন, এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর