মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সেতুর অভাবে ভোগান্তি

ভোলা প্রতিনিধি

সেতুর অভাবে ভোগান্তি

একটি সেতুর অভাবে ভোলা সদর উপজেলার দুই ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, উপজেলার পাঙ্গাশিয়া বাজার এলাকায় একটি সেতু হলে পশ্চিম ইলিশা ও ভেদুরিয়া এই দুই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। পাল্টে যাবে তাদের জীবন-জীবিকা। সেতু না থাকায় ছোট ছোট খেয়া নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়েক’শ শিক্ষার্থীকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। জরুরি চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি কৃষিপণ্য বাজারজাত করণেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তাদের দাবি এখানে একটি সেতু হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহজে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি ভোলা জেলা শহরসহ ভেদুরিয়া ফেরিঘাট ও ইলিশা ফেরিঘাটে যাতায়াত সহজতর হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফারুক গাজী জানান, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভোলার খাল। এই খালের ওই পাড়ে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের কালিকৃষ্টি গ্রামসহ ৭, ৮ও ৯ নং ওয়ার্ড এবং ভেদুরিয়া ইউনিয়নের মেয়ারচর, মুন্সিরচর, সেলিমাবাদ, মঝিরহাটসহ ১০টি গ্রাম। এখানে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের বসবাস।

এসব এলাকার মানুষকে সড়ক পথে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার ঘুরে খেয়াঘাটের সেতু পেরিয়ে শহরে যেতে হয়। ফলে বিকল্প হিসেবে এলাকাবাসী বিভিন্ন স্থান দিয়ে ৭টি পয়েন্টে খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হয়ে থাকেন। পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম জানান,  সেতু না থাকায় এ উপজেলার ১২ গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করছে। মাঝেমধ্যে খেয়া নৌকার মাঝি না থাকলে শিশুরা নিজেরাই বৈঠা বেয়ে নদী পার হতে বাধ্য হয়। আবার নৌকা ওপারে থাকলে দীর্ঘক্ষণ ঘাটে অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বর্ষাকালে অনেক সময় বইখাতা এবং জামাকাপড় ভিজে যায়। মাঝেমধ্যে নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটে। স্থানীয় কৃষক রফিক হাওলাদার জানান, সেতুর অভাবে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সমস্যা হয়।  সেতু না থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য ও পণ্য সরবরাহে সমস্যা হয়। মূল ভূখন্ডের মানুষ তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে চান না। স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ ঘোষ  জানান, রাত ৮টার পরে খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। তখন জরুরি চিকিৎসার জন্য দীর্ঘপথ ঘুরে শহরে যেতে হয়। তাই পাঙ্গাশিয়া এলাকায় একটি  সেতু নির্মাণ হলে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা কমে যাবে। ভোলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক জানান, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর