বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার সহকারী জজ আদালতে সান্তাহার শহরের দুই ব্যবসায়ী কলিম উদ্দীন ও হাসানুন বান্না মামলা দুটি করেন। অন্য আসামিরা হলেন- রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিম, পাকশীর বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান ও সান্তাহার কাচারির ফিল্ড কানুনগো মো. মহসিন আলী। এ ছাড়া এ দুই মামলায় রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আইনবহির্ভূত কাজ করায় সদর সিরাজকেও বিবাদী করা হয়েছে।
আদালত আগামী সাত দিনের মধ্যে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী কলিম উদ্দীন ও হাসানুন বান্নার নামে সান্তাহার জংশন স্টেশনের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় রেলের ভূমিতে তৈরি বিপণি বিতানে দুটি দোকান রয়েছে। তারা ১৯৯৬ সালে রেলওয়ে ভূসম্পদ বিভাগ থেকে বাণিজ্যিক লাইসেন্স নেন। ওই বিপণি বিতানে মোট দোকান আছে ২১টি। চলতি অর্থবছর নাগাদ বাদীদের রেলওয়ের খাজনা পরিশোধ করা রয়েছে। এরপরও গত ২ ডিসেম্বর কলিম উদ্দীনকে পাঁচ বর্গফুট এবং হাসানুন বান্নাকে চার বর্গফুট জায়গার অবৈধ দখলদার হিসেবে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা উচ্ছেদের চিঠি পাঠান। বাদীরা বলেন, ১৯৯৬ সালের পর থেকে রেলওয়ের বাণিজ্যিক লাইসেন্স প্রদান বন্ধ থাকলেও ওই এলাকায় আরও পাঁচটি দোকানের লাইসেন্স দেন পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা।