শুষ্ক মৌসুমেও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ভাঙছে মেঘনা-গোমতী নদী। ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে ভয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন বসতভিটা। এলাকাবাসী জানান, এ বছর ৫০-৬০টি ঘর মেঘনা-গোমতী নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসী। তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়টি এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। নদীর পেটে চলে যাচ্ছে মানুষের সহায় সম্পদ। প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর কয়েকবার আবেদন জানিয়েও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন বলেন, প্রতিবছরই নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে গোমতী নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। চরমাহমুর্দ্দী, ওয়ার্ডের মেম্বার ফজলু মিয়া বলেন, গোমতীর ভাঙন রোধ করা না গেলে লালপুর-গৌরীপুর সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা বিষয়ে কুমিল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি।