সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নওগাঁয় ভুয়া সনদে ১৬ বছর শিক্ষকতা

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর ধামুইরহাটের লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়া বিএড সনদে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক শিক্ষক ১৬ বছর ধরে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে জ্যেষ্ঠতা ভেঙে ২০০৫ সালে প্রভাব খাটিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পান। সরকারি বিধি মোতাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ পেতে  ন্যূনতম ১০ বছর সহকারী শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক অবসর গ্রহণ করায় উক্ত প্রধান শিক্ষক পদে আব্দুল্লাহ-আল-মামুন প্রার্থী হিসেবে দাখিলকৃত ২০০৬ সালের আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং ২০১৪ সালের রয়েল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপস্থাপিত দুটি বিএড সনদ ভুয়া বলে কমিটি জানতে পারে। নিয়োগে অনিয়ম ও ভুয়া সনদের কারণে সম্প্রতি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিদ্যালয় কমিটি কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করলে আব্দুল্লাহ আল মামুন নোটিস গ্রহণ করেননি। কর্তৃপক্ষকে কোনো সদুত্তরও প্রদান করেননি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন কে সহকারী প্রধান হিসেবে নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি জ্যৈষ্ঠতা ভেঙ্গে সহকারী প্রধান হিসেবে নিয়োগ বিধিসম্মত নয়। তার দাখিল করা ভূয়া সনদ প্রদানের জন্য আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বরখাস্তকরণের জন্য বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বোর্ড অনুমোদন দিলেই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হবে। অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক জেলা ও উপজেলা অফিস ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি অবগতি করেছি। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি নোটিস গ্রহণ করেছি।

 সদুত্তর যথাসময়ে প্রদান করেছি। আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং রয়েল ইউনিভার্সিটির বিএড সনদ দুটি ভুয়া কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি সনদ দাখিল করেছি। ওই সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য সরকারি ছাড় ছিল তার কাগজ আমার কাছে আছে। আমি প্রধান শিক্ষক হতে চাই না মর্মে আবেদনপত্র দাখিল করেছি কমিটির নিকট। কমিটি আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি আদালতে মামলা করেছি। বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুল হক বলেন, আমি এডহক কমিটির দায়িত্বে আছি। আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিয়োগে অনেক ত্রুটি আছে। তার বিএড সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, নিয়োগের সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছিল না।

সর্বশেষ খবর