সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে তরুণীর বিয়ে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ঝালকাঠির অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ শহিদুল্লাহর নির্দেশে গতকাল দুপুরে দুই পক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজি। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে নাঈম সরদার। বিয়ের পর আসামি বর নাঈমের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের এক তরুণী গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের নালিশি মামলা করেন। বিচারক ভিকটিমের অভিযোগ থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামি নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুজ্জামান আসামিকে  গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত নাঈমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে  জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গতকাল অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানির সময় আসামিপক্ষ ভিকটিমকে বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিত পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালত চত্বরেই ৫ লাখ টাকা  দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন।

আদালত চত্বরে আসামি, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা বন্ডে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর আসামি নাঈম  পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং কনে আরজু দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। ২০১৯ সালের প্রথমদিকে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২৩  সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় আরজুদের বাড়ির পেছনের বাগানে মোবাইলে ডেকে এনে আরজুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে নাঈম ।

সর্বশেষ খবর