মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মৌ-খামারে ভাগ্যবদল

দিনাজপুর প্রতিনিধি

মৌ-খামারে ভাগ্যবদল

স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে মৌ-খামার গড়ে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুরের মোসাদ্দেক হোসেন। মৌ-চাষ করে অল্প সময়েই তিনি স্বাবলম্বী। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, ব্যাংক ঋণ, মৌমাছির রোগবালাই দমনে সঠিক নির্দেশনা পেলে দেশে মধু চাষের ব্যাপক বিস্তার ঘটবে বলে মনে করেন মোসাদ্দেক। ফলে বিশ্ব বাজারে মধুর প্রচুর চাহিদা থাকায় রপ্তানি করে অর্জন করা সম্ভব বৈদেশিক মূদ্রা। মোসাদ্দেক হোসেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এমএসসি শেষ করেছেন। পরে দিনাজপুর বিসিক থেকে মৌ-পালনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে গড়ে তোলেন মৌ-খামার-যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও পাঁচজনের। তিনি এখন ৫০টি মৌ-বাক্স দিয়ে সরিষা খেত থেকে মধু আহরণ করছেন। বছরের নভেম্বর থেকে এপ্রিল এ ছয় মাস উৎপাদিত হয় মধু। সরিষা, কালোজিরা, ধনিয়া, লিচু, মিষ্টি কুমড়া, তিল, সাজনা, কেওড়া, গেওয়া, ধঞ্চা থেকে মধু আহরণ করা হয়। মোসাদ্দেক জানান, মৌমাছি ফুল থেকে নেকটার ও পরাগরেণু সংগ্রহ করে। নেকটারে জলীয় অংশ মৌমাছির পাকস্থলি ও মৌ কোষে বাষ্প আকারে উড়ে গিয়ে গাঢ় মধুতে পরিণত হয়। প্রতিটি মৌ-বাক্সে ৮-১০টি মৌ ফ্রেমে মৌমাছি থাকে। প্রতি মৌ-বাক্স থেকে গড়ে বছরে ৬০-৭০ কেজি মধু উৎপাদিত হয়।

 দিনাজপুর বিসিকের টেকনেশিয়ান এক্সপার্ট হাফিজুর রহমান জানান, মোসাদ্দেকের আগ্রহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মধুর কাক্সিক্ষত উৎপাদনও মিলেছে। তার সফলতায় অনেকেই মৌচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। শিক্ষিত তরুণেরা এগিয়ে এলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি পণ্যে পরিণত হবে মধু।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর