শুক্রবার, ১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে চলছে সরকারি বিদ্যালয় নির্মাণ

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে চলছে সরকারি বিদ্যালয় নির্মাণ

মেহেরপুরের গাংনীর মহব্বতপুরে  ব্যক্তিমালিকানাধীন  জমিতে চলছে সরকারি বিদ্যালয় নির্মাণ। ইতিমধ্যে নির্মাণ বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৮২ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটিকে নিছক ভুল বলে দাবি করলেও প্রকৃত জমির মালিকরা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) এলজিইডির বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৭ টাকা ব্যয়ে মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণকাজ শুরু হয় ৬ মাস আগে। কাজটি পান কাঞ্চননগরের নিশিতবসু কনস্ট্রাকশন। কাজটির শেষ পর্যায়ে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। প্রকৃত জমির মালিকরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন টনক নড়েছে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

 জমির মালিক প্রাক্তন শিক্ষক আবদুল খালেক জানান, যে জমিতে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি চার শরিকের। জমির মৌজা মহব্বতপুর ১৪৩ নম্বর খতিয়ানের ১৮২ দাগে। জমির পরিমাণ ১৬ শতাংশ। এ জমির পেছনের দিকের ৫৭ নম্বর খতিয়ানের ১৮৩ নম্বর দাগে বিদ্যালয়ের জমি রয়েছে ১৫ শতাংশ। প্রধান শিক্ষককে জমি বিনিময়ের ব্যাপারে অনেকবার বলা হলেও কোনো কর্ণপাত করেননি। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও বারবার বিষয়টি উপক্ষো করেছেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জমির শরিকগণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ করতে নিষেধ করেছেন। ফলে বন্ধ হয়েছে নির্মাণকাজ। বিষয়টির আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, এটি নিছক ভুল হয়েছে। জমিটি বিনিময় করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। এটি সময়ের ব্যাপার। তবে জমির শরিকরা বিনিময় করতে নারাজ। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদ সরওয়ার জানান, বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর পর তিনি সভাপতি হয়েছেন, তাই জমিজমার বিষয়টি তার অজানা ছিল। গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন জানান, জমির ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। তবে জমির কাগজপত্র না দেখে ভবন নির্মাণকাজ চালু করা কখনো সঠিক হয়নি। বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় তার পথ খোঁজা হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে রহমান জানান, তিনি কিছুই জানেন না। আর কোনো কথাও বলতে চান না। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান জানান, এটি নিছক ভুলের বিষয় নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর