নেত্রকোনার মদন উপজেলার বয়রালা নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুটি এখন স্থানীয়দের ‘গলার কাঁটা’। কয়েকদিন পরপরই ভেঙে পড়ছে পাটাতন। নেত্রকোনা-মদন-খালিয়াজুরী সড়কে বয়রালা নদীর ওপর পুরনো এ সেতু এক সময়ের এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ হলেও এখন অভিশাপে রূপ নিয়েছে। যোগাযোগের বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। ধান, মাছের ট্রাকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীবাহী বাস চলছে এই সেতু দিয়ে। এমনকি উচিতপুর ট্রলার ঘাটে অঘোষিত পর্যটন স্পট হিসেবে হাওর দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ আসেন এই সড়ক দিয়েই। কিছু দিন পরপর সেতুর পাটাতন ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তখন দুর্ভোগের শেষ থাকে না সাধারণ মানুষের। তখন সেতু সেটে পার হয়ে অপরপ্রান্তে গিয়ে বাড়তি টাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে হয় তাদের। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই ভয়াবহ অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজরে আসেনি- এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে এখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মেইটেনেইন্স’র আন্ডারে পিএমপি পাস হয়েছে। অচিরেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে। জানা যায়, নেত্রকোনা থেকে মদন উপজেলা পর্যন্ত রয়েছে ৩২ কিলোমিটার সড়ক। এই সড়ক দিয়ে জেলার হাওর উপজেলা মদন, খালিয়াজুরী, কিশোরগঞ্জের ইটনা মিটামইনসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করেন। বয়রালা নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে পাঁচ টন ওজনের অধিক যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা লেখা সাইনবোর্ড ঝুলানো রয়েছে। তবে চলাচল করছে ২৫-৩০ টনেরও বেশি ভারী যানবাহন। এতে কিছুদিন পর পর সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
