বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চাষিদের বিদ্যুৎ সংযোগে হয়রানি

বোরো উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা

ফুলপুর প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বোরো চাষিদের ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেচ লাইসেন্স। অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে চলতি মৌসুমে বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বোরো চাষের জন্য প্রসিদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত ফুলপুরে মৌসুমের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ কৃষক বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি। প্রতিদিন সংযোগের জন্য বিএডিসি, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও পিডিপি অফিসে তাদের ভিড় করতে দেখা যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আসা অনেক চাষি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকদের ভাষ্য, তারা             বিদ্যুৎ অফিসে গেলে সেখান থেকে বলা হয় লাইসেন্স লাগবে আর বিএডিসি থেকে লাইসেন্স নিতে এলে বলা হয় আগে এলেন না কেন? এবার হবে না। আবেদন করে রাখুন আগামীতে পাবেন। সময়মতো বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় এবার উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কার কথাও জানান তারা। সেচ লাইসেন্স দিতে বিএডিসি অফিসে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে ৯৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। নভেম্বর থেকে মৌসুম শুরু হলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় অনেকে বীজতলা তৈরিই শুরু করতে পারেননি। প্রায় ৩ হাজার আবেদনের মধ্যে বিএডিসি অফিসে এখনো তদন্তের অপেক্ষায় ১ হাজার ৭০০। মাত্র ৯৮৭টি লাইসেন্স প্রথম পর্যায়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আরিফুল হক মোবাইল ফোনে জানান, সেচ কমিটি যাচাই-বাছাই করতে দেরি করলে আমার কী করার আছে। যারা লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পিডিপির নির্বাহী প্রকৌশলী এ জেড এম আনোয়ারুজ্জামান বলেন, পুরাতন যাদের অ্যাকাউন্ট আছে তাদের লাইসেন্স থাক বা না থাক সংযোগ দিয়ে দিচ্ছি। নতুনদের জন্য সেচ কমিটির মতামত চাচ্ছি। ফুলপুরের ইউএনও শীতেষ চন্দ্র বলেন, বোরো চাষের জন্য সেচ লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বিদ্যুৎ সংযোগে গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। কৃষকরা তার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ খবর