বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ফেলানীরে যারা খুন করল কবে হবে তাদের সাজা

মেয়ে হারানোর নবম বছরে বাবা-মার প্রশ্ন

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

ফেলানীরে যারা খুন করল কবে হবে তাদের সাজা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার নয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ৭ জানুয়ারি। ২০১১ সালের এ দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা যায় ফেলানী। সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে লাশ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ফেলানী হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার হয়। ভারত সরকার বিচারের ব্যবস্থাও করে। কিন্তু তাতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম সন্তুষ্ট নন। মেয়ে হারানোর নয়টি বছরে তারা জানতে চান- ফেলানীরে যারা খুন করল কবে হবে তাদের সাজা? জানা গেছে, অমিয় ঘোষ নামে বিএসএফের এক সদস্যের গুলিতে প্রাণ যায় ফেলানীর। বিএসএফের বিশেষ আদালতে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস পান অমিয় ঘোষ। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহযোগিতায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করে ফেলানীর পরিবার। এরপর কয়েক দফা ফেলানী হত্যা মামলার শুনানি চলে। বিচারকাজ অমীমাংসিত থাকায় এখনো ফেলানীর বাবা ও মা ক্ষুব্ধ। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফেলানী হত্যার বিচার পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত পুনরায় আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়। রায়ের পর একই বছর ১৪ জুলাই আবার ‘মাসুম’ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করে। ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। পরের দুই বছর কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি। এরপর ২০১৯ ও ২০২০ সালে কয়েকবার শুনানির তারিখ ধার্য্য হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি। গতকাল ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে অনেক ঘুরেছি, মানবাধিকার সংস্থাসহ বহুজনের কাছে গিয়েছি। কোনো ফল পাইনি। মেয়ে হারালাম নয়টি বছর হয়ে গেল। আজও তার বিচার পেলাম না। বারবার বিচারের তারিখ বদলায়। তাহলে বিচার পামু ক্যামনে? ২০২০ সালের ১৮ মার্চ করোনার আগে শুনানির তারিখ থাকলেও তা হয়নি। এখন আর কোনো খোঁজখবর জানি না।’ ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘এত বছর হয়ে গেছে আজও বিচার পাইলাম না। আমি দুই দেশের সরকারের কাছে ন্যায্য বিচার দাবি করছি।’

সর্বশেষ খবর