শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

খোলাবাজারে ঝুঁকছেন কৃষক-মিল মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিভাগে শুরু হয়েছে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান। এ অঞ্চলের চালকলমালিক ও কৃষকরা কাক্সিক্ষত সাড়া না দেওয়ায় বোরো মৌসুমের মতো আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে দাম বেশি থাকায় কৃষক-মিলাররা সরকারের কাছে ধান ও চাল দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। খোলাবাজারে ঝুঁকছেন কৃষক-মিল মালিকরা। ফলে গত বোরো মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও চাল না দেওয়ায় এবার ১ হাজার ৪৭৯ জন চালকল মালিক চাল দিতে পারবেন না। চুক্তি ভঙ্গ করায় সরকারের কাছে থাকা তাদের জামানতের অর্থও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর শুরু হওয়া ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবার আমন ধানের কেজিপ্রতি মূল্য নির্ধারণ করেছে ২৬ টাকা। সিদ্ধ চাল ৩৭ ও আতপ চাল কিনবে ৩৬ টাকায়। রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, বিভাগের আট জেলায় মোট ৫ হাজার চালকলমালিক আছেন।

 এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২৩৪, নাটোরে ৪২৯, নওগাঁয় ৯৫৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩৭, পাবনায় ৭৩২, সিরাজগঞ্জে ৪২৬, বগুড়ায় ১ হাজার ৮০৮ ও জয়পুরহাটে ৪৮৩ জন। এবার রাজশাহী বিভাগে আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৩৯১ জন মিলার চাল সরবরাহের জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা সরবরাহ করেছেন দুই হাজার ৪৭৩ মেট্রিক টন। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মিলারদের কাছ থেকে আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা আছে ১১ হাজার ৬৪৮ মেট্রিক টন। এ জন্য ১৫৫ জন মিলারের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখন পর্যন্ত ১ ছটাক আতপ চালও দেননি তারা। তা ছাড়া বিভাগের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। রাজশাহীর পবা উপজেলার কৃষক আসলাম উদ্দিন জানান, সরকার এবার আমন ধান কেনার জন্য কেজিপ্রতি ২৬ টাকা দাম নির্ধারণ করেছে। এই দাম বর্তমান বাজার দরের চেয়ে কম। বাজারে কেজিপ্রতি ২৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে ধান। রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবির জানান, গত বছর থেকে কৃষকরা ধান-চালের ভালো দাম পাচ্ছেন। যা কৃষকদের জন্য ইতিবাচক। গত বোরো মৌসুমে যে সব মিলার চুক্তিভঙ্গ করে চাল সরবরাহ করেনি তারা এবার চাল সরবরাহের সুযোগ পাবেন না। তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এবার যারা চুক্তি ভাঙবেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর