শিরোনাম
রবিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কার্প মাছ চাষে নতুন সম্ভাবনা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কার্প মাছ চাষে নতুন সম্ভাবনা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কার্প জাতীয় মাছ নিয়ে তিন বছরের গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন একদল গবেষক। ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ পুকুরে রেখে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ২-৩ কেজি ওজনে পরিণত করা হয়েছে। উপজেলার সলিমপুর গ্রামে কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তির মধ্যমে এ গবেষণায় সফল হন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এ প্রযুক্তিতে দক্ষিণাঞ্চলে মাছ চাষে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। অল্প সময়ে অধিক মাছ উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন অনেক মৎস্যচাষি। গবেষণা সূত্রে জানা যায়, দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় মৎস্যচাষিসহ স্থানীয় বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প ও কমন কার্প মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে বাজারে সরবরাহ করতে দক্ষিণাঞ্চলের চাষিদের দুই থেকে তিন বছর লাগত। তাও ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজির বেশি হতো না। এতে অনেকেই এ মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। সুস্বাদু কার্প জাতীয় মাছের চাহিদা তৈরি করতেই এ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তিতে দুটি গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমে পানির স্তরভেদে কার্প জাতীয় মাছের সংখ্যা ও মজুদ ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সম্পূরক খাদ্য নির্ধারণ করা।

 এ ছাড়া পানির গুণাগুণ পরীক্ষা, প্লাংটনের প্রাচুর্যতা, পানিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি, মাছে ও পানিতে ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়েও গবেষকরা কাজ করেছেন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তি উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাছচাষিরা সাধারণত ছোট আকারের মাছ পুকুরে মজুদ করেন। এই ছোট আকারের মাছ বিক্রির উপযোগী হতে ২-৩ বছর সময় লাগে। নতুন প্রযুক্তিতে এখন কার্প জাতীয় মাছ ৭-৮ মাসের মধ্যে দুই থেকে তিন কেজি ওজনে পরিণত করা সম্ভব- যা খামারিদের কাছে ছিল অকল্পনীয়।

সর্বশেষ খবর