মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে ধামরাই

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

বদলে যাচ্ছে ধামরাই

বদলে যাচ্ছে ঢাকার উপকণ্ঠের ধামরাই উপজেলা। এ উপজেলার বংশী নদীর ওপর নির্মিত কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন সেতুই বদলিয়ে দিচ্ছে ধামরাইকে। সেতুর ফলে যাতায়াতের সুব্যবস্থা, অল্প সময়ের গন্তব্য পৌঁছানো, জমির দাম বৃদ্ধি, এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণেই দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে এলাকার সার্বিক চিত্র। ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান কুল্লা ফোর্ডনগর সোমভাগের চাপিল, চৌহাটের রাজাপুরসহ কয়েকটি সেতুই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর মুখের সন্ধান দিয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। জানা গেছে, এক সময়ে ধামরাইয়ে যাতায়াত ও উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে ছিল বংশী নদী। নদীর কারণে লাখ লাখ মানুষ গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে অনেক সময় ব্যয় করতে হতো। এখন নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করায় মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছেন তারা গন্তব্য স্থানে। এতে ওইসব এলাকায় উন্নায়নের দ্বার খুলেছে। পরিবর্তন ঘটেছে মানুষের ভাগ্যের। উপকারভোগীরা জানান, সেতু ও রাস্তার অভাবে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া, বাইশাকান্দা পাশর্^বর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, রোয়াইল, নান্নার, শুয়াপুর, কুল্লা ইউনিয়ন ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরসহ কয়েক লাখ লোক  আমরা চরম দুর্ভোগে পড়ে ছিলাম। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সব দিক থেকে পিছিয়ে ছিলাম। বংশী নদীর ওপর নির্মিত সেতুগুলোই আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এভাবেই শুধু কাকরান ফোর্ডনগর নয় ধামরাইয়ের চাপিল, বাস্তা, বালিয়া, চৌহাটসহ বেশ কয়েকটি সেতু নির্মিত করে জনসাধারণের জন্য চলাচলের জন্য খোলা হয়েছে। উন্নয়নও ঘটেছে ওইসব এলাকায়। তবে কাকরান সেতুটি এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম। ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, ভাড়ারিয়াবাসীর স্বপ্নের সেতুর নাম কাকরান সেতু। এ সেতুই বদলাচ্ছে ইউনিয়নবাসীর ভাগ্য। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র গোলাম কবির জানান, ধামরাইয়ে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন কাকরান সেতুর ফলে সাভার আশুলিয়ার সঙ্গে সেতুবন্ধ হয়েছে ধামরাইবাসীর। এমপি বেনজীর আহমদ জানান, ধামরাইয়ে পাঁচ বছরে ৫০ বছরের উন্নয়ন কাজ হবে। তারই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর