রংপুরের মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী নৈশকোচে পেট্রোলবোমা মেরে ছয় যাত্রী হত্যা ও ২৫ জন দগ্ধের ঘটনার আজ ছয় বছর। ২০১৫ সালের এই দিনে দুর্বৃত্তরা এ নির্মম ঘটনাটি ঘটায়। ঘটনার ছয় বছর অতিবাহিত হতে চললেও চাঞ্চল্যকর মামলাটি গতিহীন হয়ে পড়েছে। মামলার অধিকাংশ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জামিন পাওয়া কয়েকজন হাই কোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। অনেক আসামি রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে খলিল পরিবহনের একটি নৈশকোচ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। রাত ১টার দিকে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বাতাসন এলাকায় দুর্বৃত্তরা বাসটি লক্ষ্য করে কয়েকটি পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে বাসের ভিতরে আগুন ধরে যায়। দগ্ধ হয়ে একটি শিশুসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন আরও ২৫ যাত্রী। এ ঘটনায় তখনকার মিঠাপুকুর থানার এসআই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ৮৭ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ১৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এ বিচার কাজ চলা অবস্থায় হাই কোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে। ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হলেও অগ্নিদগ্ধ ও নিহতদের স্বজনের অনেকেই সাক্ষ্য দেননি। সূত্র জানায়, চার্জশিটভুক্ত ১৩২ জনের মধ্যে ১০০ জনের বেশি আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন জানান, বেশকজন আসামি উচ্চ আদালতে মামলাটি স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি স্থগিত রয়েছে।